আমাদের তালিকা থেকে নাম না নিলেও আপত্তি নেই: কাদের
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটিকে আওয়ামী লীগ যে পাঁচ জনের নাম দিয়েছে সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না দিলেও কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাকে উপযুক্ত মনে করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন আমরা তাকেই সাদরে গ্রহণ করবো। কোনো প্রতিবাদ করবো না।’
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নাম জমা সময় শেষ দিন আজ। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ ২৭টি দল নাম জমা দিয়েছে। যদিও বাসদ ছাড়া আর কোনো দলের প্রস্তাবিত নাম সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে ও আলোচনায় জানা যাচ্ছে সাবেক সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য অন্যান্য দলের মতো পাঁচজনের নাম দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে নাম জমা দিলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে এই তালিকায় কাদের নাম রয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের তালিকায় রয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, সাবেক তথ্য কমিশনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সাদেকা হালিম।
আওয়ামী লীগের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে মনজুর হোসেন রাষ্ট্রপতির দপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে তার সুনাম রয়েছে। মঈন-ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আইজিপি হলেও নূর মোহাম্মদ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে জানা গেছে।
এছাড়া আব্দুল করিম, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ও সাদেকা হালিম বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় তাদের প্রতি আস্থা রাখছে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যথাসময়ে কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হেপী বড়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, যুবলীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)