ছাত্রলীগের ওপর মেয়রের গুলিতে সাংবাদিকসহ আহত ৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:৫১ | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:৪০

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারপিটের ঘটনায় মেয়র অনুসারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মেয়রের শটগানের গুলিতে সাংবাদিকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উভয়পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে শাহজাদপুর পৌর এলাকার মনিরামপুর মহল্লায় মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আবুল হাসনাত ঢাকাটাইমসকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিট করেন। পরে মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ তার ভাই পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, বিজয়কে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মেয়রের বাসায় হামলা চালান। একপর্যায়ে মেয়রের বাসা থেকে গুলিবর্ষণ করা হলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব ওয়াহিদ কাজল ঢাকাটাইমসকে জানান, দুপুরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয়কে মেয়রের বাসায় তুলে নিয়ে তার হাত ও পা ভেঙ্গে দেয় মেয়রের ভাই পিন্টু। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিলে গুলিবর্ষণ করে মেয়র হালিমুল হক মিরু। গুলিবর্ষণের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক শিমুলের মুখের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।

তবে, শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু জানান, তার ভাই পিন্টুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ এসে পিন্টুকে থানায় নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘তারপরও ছাত্রলীগ নামধারীরা আমার বাসায় হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে আমার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি। এতে হামলাকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাসার ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার বাসায় অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে যায়।’

(ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :