খাগড়াছড়িতে ট্রাকচাপায় সাত জনের মৃত্যু, আহত ৯
খাগড়াছড়িতে ঝালমুড়ির দোকানের সামনে ভিড় করে থাকা লোকদের ওপর ট্রাক উঠে পড়ার ঘটনায় অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও নয় জন।
শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের আলুটিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হান্নান।
নিহতরা হলেন-মহালছড়ি উপজেলার চুংড়াছড়ির মংপ্রু মারমার স্ত্রী নাইম্রা মারমা ও তার ছেলে চিংলা মারমা, একই এলাকার চাইলাপ্রু মারমার ছেলে উচিংনু মারমা, মংমং মারমার শিশু কন্যা মাথিং মারমা, চাইহ্লা মারমার শিশু কন্যা টুনটুনি মারমা, মংক্ররীর মারমার ছেলে অংক্যচিং মারমা ও রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের নাকপা এলাকার আক্যসুই মারমার ছেলে সাথোইপ্রু মারমা।
আহতরা হলেন-মাটিরাঙা উপজেলার তবলছড়ি এলাকার মংসাউ মারমার স্ত্রী স্রানাইউ মারমা, সদর উপজেলার মাইসছড়ি এলাকার সাজাউ মারমার ছেলে জনি মারমা, মাটিরাঙা উপজেলার আলুটিলা এলাকার ইন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে সুকেন ত্রিপুরা, মহালছড়ি উপজেলার চেহাইউ মারমার মেয়ে ববি মারমা, চুংড়াছড়ি এলাকার মংমং মারমা স্ত্রী উমেচিং মারমা, সদর উপজেলার খাগড়াপুর এলাকার তরুন ত্রিপুরার স্ত্রী পিপি রাণী ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলার সাজেক’র দারিপাড়া এলাকার জনি চাকমার ছেলে শান্তি রঞ্জন চাকমার, মহালছড়ি উপজেলার চিংলামং মারমা’র ছেলে চিংক্যহ্লা মারমা, একই এলাকার মংমং মারমা’র মেয়ে চিংম্রাউ মারমা ও পাইসাউ মারমা’র ছেলে রনি মারমা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, আলুটিলা ধাতুচৈত্য বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ও জনবল বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্রমণি মহাথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গতকাল থেকেই ভিক্ষুর হাজারো ভক্ত ও অনুসারী জড়ো হন। এজন্য বিহারের বাইরে বসানো হয় বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান।
সকালে অনুষ্ঠানে আসা বেশ কয়েকজন ঝালমুড়ি খেতে একটি দোকানকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ট্রাক (চট্ট মেট্রো ট-১১৩৮০০) তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাত জন নিহত এবং নয় জন আহত হয়।
আবদুল হান্নান জানান, আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘাতক ট্রাককে আটক করেছে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মো. আবুল আমিনসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।
(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর)
মন্তব্য করুন