মেলায় নুজহাত চৌধুরীর প্রথম বই
একুশে বইমেলার প্রকাশ হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরীর বই। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করলেও এটাই তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই। ‘এ লড়াই অনিবার্য ছিল’ নামে প্রবন্ধ সংকলন বইটি প্রকাশ করেছে মাওলা ব্রাদার্স।
বইটি সম্পর্কে নুজহাত ঢাকাটাইমকে বলেন, ‘আন্দোলনের একটা হাতিয়ার হলো আমার লেখালেখি। আমি বিভিন্ন পত্রিকায় যে লেখাগুলো লিখেছি সেই লেখা প্রবন্ধগুলোকে সংকলিত এই বই। বইটির বৈশিষ্ট্য ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জাতীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গণজাগরণের সময়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়। এই সময়টা একজন শহীদের সন্তান বিভিন্ন ঘটনায় তার অনুভূতি লিখেছেন। তাই এটার মধ্যে একটা ধারাবাহিক পরিবর্তন আছে।’
‘এ লড়াই অনিবার্য ছিল’ প্রবন্ধের মোড়ক উন্মোচন হয় মেলার পঞ্চম দিন রবিবার। বইটির শুভেচ্ছা মূল্য ২৫০ টাকা। পাওয়া যাবে ১০নং প্যাভিলনে মাওলা ব্রাদার্সে।
ডা. নুজহাত চৌধুরী জীবনের শুরুতেই হারান প্রথিতষশা চক্ষু চিকিৎসক পিতা ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে। প্রচণ্ড সংগ্রামী মা স্বনামধন্য শিক্ষিকা শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীকে দেখে শিখেছেন সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অদর্শের প্রতি অবিচল থাকার দৃঢ়তা। ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে চিকিৎসক হয়ে স্পেশালাইজেশন করেন বাবার মতো চক্ষু বিজ্ঞান বিষয়ে। এরপর ভিট্টিও-রেটিন বিষয়ে ফেলোশিপ করেন দেশে ও ভারতের বিখ্যাত হাসপাতাল এল. ভি. প্রসাদ আই ইন্সিটিউট থেকে। বর্তমানে, সহযোগী অধ্যাপক (রেটিনা) হিসেবে কর্মরত আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বামী ডা. মামুন আল মাহতাব একজন লিভার বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব। মেয়ে সুকন্যা ও ছেলে সূর্য পড়ছে স্কুলে।
নুজহাত চৌধুরী ‘প্রজন্ম ৭১’- এর প্রতিষ্ঠাতা সংস্কৃতিক সম্পাদক। তারুণ্যের শুরুতেই যুক্ত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গণআদালতের আন্দোলনের সঙ্গে। গণজাগরণ মঞ্চেও ছিলেন জনতার কাতারে। বর্তমানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং প্রজন্ম ৭১- এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের শোকগাথা ছড়িয়ে দেয়াই জীবনের মূল লক্ষ। সেই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তৃণমূলে। তাঁর লেখালেখি মূলত সেই আদর্শের প্রচারের আরেকটি হাতিয়ার।
(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/জেআর/জেবি)