কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক?
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কু মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উচ্চ আদালতে করা মামলার কারণে ঠিক সময়ে ওই সিটিতে নির্বাচন দেয়া সম্ভব হয়নি। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা কেটে গেছে। এখন নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে দায়িত্ব তুলে দেয়ার আগের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক? এনিয়ে আলোচনা চলছে সরকারের নির্ধারণী পর্যায়ে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, সরকার স্থানীয় কোনো রাজনৈতিক নেতাকে প্রশাসকের দায়িত্ব দিতে ইচ্ছে পোষণ করেছেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো নাম বাছাই হয়নি এখনও। আমলাদের কেউ কেউ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আফতাবুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন সিকদার, আফজাল খানের ছেলে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ইমরান খানসহ অনেকের নাম বিবেচনায় আছে।
জানতে চাইলে আফজাল খানের ছেলে ইমরান খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পদে একজন রাজনীতিককে দিতে চান বলে আমিও শুনেছি। আমার নামে যেমন প্রচার আছে, তেমনি বাবার নামও আছে। এখন কী হবে তা তো আমি বলতে পারবে না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারের একজন যুগ্ম সচিব অথবা বিশিষ্ট কোনো নাগরিককে প্রশাসক পদে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।। ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়রগণ মামলার কারণে পদ হারিয়েছেন। ওইসব সিটি করপোরেশনে ভারপ্রাপ্ত মেয়ররা দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথমবার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম সাক্কু বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফজাল খানকে হারিয়েছিলেন।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মামলার কারণে নির্বাচন না হওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অবশ্য কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তা কেটে গেছে। তিন মাসের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন না করলে নির্বাচন আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল উচ্চ আদালতের। ওই নির্দেশনা প্রতিপালিত হওয়ায় নির্বাচন আয়োজনে বাধা নেই বলে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সময় স্বল্পতার কারণে কুমিল্লা সিটির তফসিল ঘোষণা করছে না বর্তমান কমিশন। কারণ তাদের মেয়াদও শেষ পর্যায়ে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ইসি গঠন হলে তারা এসে কুমিল্লা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।
ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এইচএফ/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন