‘জুস খেয়ে’ অচেতন তিন শিশু চার দিন ধরে হাসপাতালে
চারদিন ধরে অচেতন অবস্থায় চাঁদপুর হাসপাতালে পড়ে আছে তিনটি শিশু। এরা সম্পর্কে ভাই-বোন। একটি বেসরকারি কোম্পানির জুস খাওয়ার পর তারা অচেতন হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন তাদের স্বজনরা।
শিশু তিনটি হলেন শরীয়তপুরের বেপারিকান্দি গ্রামের ১২ বছর বয়সী ছেলে শাহিন, আট বছর বয়সী মোশারফ এবং পাঁচ বছর বয়সী মরিয়ম আক্তার। তারা মুনসুর হাওলাদারের ছেলে। গত শুক্রবার বিকালে শরীয়তপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন হাওলাদার বাড়িতে বসে শিশুরা জুস খেয়েছিল বলে জানান মুনসুর।
মুনসুর হাওলাদার জানান, স্থানীয় একটি দোকান থেকে প্রাণ কোম্পানির ফ্রুটো জুস খাওয়ার পর তার তিন সন্তান অচেতন হয়ে পড়ে। তিনি জানান, ঘটনার তিনদিন আগে তিনি একটি জুস কিনে ঘরে রাখেন। শুক্রবার বিকালে সেই জুস ভাগ কওে খায় তিনজন। এরপর তারা মাটিতে পওে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
শিশুদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চাঁদপুর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শিশুদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদেরকে পযর্বেক্ষণে রাখা হয়েছে, আশা করি দ্রুত তাদের জ্ঞান ফিরে আসবে।’এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রাণ কোম্পানির কুমিল্লার আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘এটি মিথ্যা কথা। শিশুদের বাবা মামলা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছেন রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া জুস খেয়েছে। তবে সেটি কি প্রাণ কোম্পানির নাকি অন্য কোম্পানির জুস ছিলো তা তারা সঠিক ভাবে বলতে পারেনি।’
এক পর্যায় এই বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান অনিল চন্দ্র দাস। পরে আবার হুমকি দিয়ে বলেন, এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে পরিণতি ভালো হবে না। বলেন, ‘ প্রাণ বাংলাদেশের একটা বড় কোম্পানি, এমন কোম্পানির বদনাম রটিয়ে যদি আপনার সংবাদ প্রকাশ করেন তাহলে কোম্পানি কোনভাবে ছাড় দেবে না।’
ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন