নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন নুরুল হুদা
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সাবেক সচিব খান মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে (কে এম নুরুল হুদা) পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করা হয়েছে। রাতেই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্য করা হয়েছে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন চৌধুরীকে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২৫টি দল ১২৮ জনের নাম প্রস্তাব করেছিল। এরমধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটি। এই ১০ জনের মধ্য থেকে একজনকে সিইসি ও চারজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মাহবুব তালুকদারের নাম প্রস্তাব করেছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনার পদে সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত আটজনের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের নামও বিএনপি প্রস্তাব করেছিল। তবে তার নাম বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীতদের মধ্যে কবিতা খানমের নাম রাষ্ট্রপতি নিয়েছেন। আর তাদের দেয়া পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নানের নাম সার্চ কমিটি সুপারিশ করলেও রাষ্ট্রপতি তা নেননি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা ৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ওএসডি থাকার পর ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া নুরুল হুদার বাড়ি পটুয়াখালীতে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয় যুগ্মসচিব এবং অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ছিলেন।
এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে দুইজন এবং চার নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য আটজনের নাম সুপারিশ করে। সার্চ কমিটি সিইসি পদে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নামও প্রস্তাব করেছিল। এছাড়া কমিশনার পদে সার্চ কমিটির সুপারিশকৃতদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জারিনা রহমান খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য মো. আবদুল মান্নান এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ মাসুদ আহমেদ, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিরিণ আখতার।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল ওয়াদুদ এবং মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমও সার্চ কমিটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১০ জনের নাম পেশ করার জন্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন। এর আগে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মাসব্যাপী সংলাপ করেন।
(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি/এমএম/জেবি)