‘কুষ্ঠমুক্ত দেশ গড়তে চাই সচেতনতা’
কুষ্ঠরোগের চিহ্ন ও লক্ষণ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগের নিয়ন্ত্রণ করতে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও সেবা দরকার। তা হলেই দেশ কুষ্ঠব্যাধিমুক্ত হতে পারে। কুষ্ঠরোগ প্রথম দিকে ধরা পারলে তা নিরাময় সম্ভব। দেশের সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা হয়।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের যৌন, চামড়া ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, কুষ্ঠরোগ মূলত চামড়া ও শরীরের অগভীরের রোগ হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। এই রোগ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতে ছাড়া শরীরের যেকোনো টিস্যুতে (কলা) আঘাত করে থাকে।
চিকিৎসক বলেন, কুষ্ঠরোগ নিরাময়ে প্রধান বাধা হলো সচেতনতার অভাব, রোগ সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানা, দেরিতে রোগ চিহ্নিতকরণ, সামাজিক অপবাদ এবং সীমিত মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান।
দেশে সীমিতসংখ্যক কুষ্ঠরোগের চিকিৎসক পাওয়া যায়। তবে দেশের সব চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা ও চিকিৎসা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, কোনো কুষ্ঠরোগী যাতে চিকিৎসার আওতার বাইরে না থাকে এর জন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। কারণ কোনো রোগী চিকিৎসার বাইরে থাকলে রোগ সংক্রামিত হবে, যা স্বাস্থ্য সেবার জন্য বিপদজনক।
রাজশাহীতে ডেমিয়ন ফাউন্ডেশন কুষ্ঠরোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করে আসছে। রাজশাহী, নওগা ও চাপাই নবাবগঞ্জের ২৫টি উপজেলায় ফাউন্ডেশনটি ৭০ লাখ জনগনের মধ্যে কুষ্ঠরোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের রাজশাহীর উপ-পরিচালক ডা: আবদুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশ কুষ্ঠরোগের চিকিৎসায় ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। তবে রাজশাহী এলাকায় এক হাজারের মধ্যে একজন কুষ্ঠরোগীর লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি বলেন, ঝুঁকি হ্রাস, প্রতিরোধ, রোগ চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা প্রদানে মাধ্যমে কুষ্ঠরোগের মহামারী রোধ করা সম্ভব। -বাসস
(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/জেবি)