দেশে নতুন ৬৮ স্থানকে পর্যটনকেন্দ্র করা হবে
পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য দেশে নতুন আরো ৬৮টি স্থানকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, এ জন্য সরকার বর্ধিত ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাগলা এলাকায় মেরি এন্ডারসন ভাসমান রোস্তোরাঁর স্থানে ‘সোনারগাঁও ভাসমান রেস্তোরাঁ ও বার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
দেশে নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রের জন্য মডেল তৈরি করে অবকাঠামোগত কাজ শুরু করা হবে। এরই মধ্যে ১২টি স্থানে কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে একজন পর্যটকের জন্য ১১ জন মানুষের কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে দাবি করে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটন শুধু বিনোদন হিসেবেই নয়, শিল্পে পরিণত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে এটি পোশাকশিল্পের চেয়ে বেশি উন্নতি লাভ করবে।’ তবে জঙ্গিবাদের কারণে এখন বিদেশি পর্যটকদের আগমন কমে গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
২০১৬ সালকে সরকার পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছিল। ২০১৭-১৮ সালেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, অযতœ-অবহেলায় নদীমার্তৃক এই বাংলাদেশের নদীর নাব্যতা ও সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। আজকে যারা এই নদী দূষণ করে হত্যা করেছে তাদের এই যুগের রাজাকার বললেও ভুল হবে না। তিনি খালেদা জিয়া, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, তারা সরকারের সবকিছুই খারাপ দেখে, ভালো দিক দেখে না। তবে বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের উন্নয়নশীল ৩০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নেবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জ্ঞান রঞ্জন শীল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতাহার আলী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হায়দার আলী ও অন্য শিল্পীরা।
(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/মোআ)