ত্বকী মঞ্চে হামলার প্রতিবাদে ৫৯ সংগঠনের প্রতিবাদ
নারায়ণগঞ্জের মেধাবি ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটসহ ৫৯টি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারে দাবি করেছে সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার ৫৯টি সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে ত্বকী হত্যাসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান জড়িত বলে দাবি করেন সংগঠনগুলো। তাদের দাবি, এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত আজমেরী ওসমান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন এখনও তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনেনি। এ কারণেই দুর্বৃত্তরা নানা অপরাধীমূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস পাচ্ছে।
বিবৃতি দেয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা, সিপিবি, ন্যাপ, বাসদ (মার্কসবাদী), বাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণ-সংহতি আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন।
উল্লেখ গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে ত্বকী হত্যার চার বছর পূর্তিতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়। একই দাবিতে শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের মোমশিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই শহীদ মিনারে মুখে কালো কাপড় বেঁধে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তারা শহীদ মিনারে রাখা ত্বকী মঞ্চের ব্যানার চাকু দিয়ে কেটে মাইকের স্ট্যান্ড ছুড়ে ফেলে দেয়। শহীদ মিনারের মধ্যে কয়েকটি গাছে চাকু দিয়ে আঘাত করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। বাধা দিতে গেলে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দীমান সাহা জুয়েল, এস এম কাদের ও করিমকে মারধর করা হয়।
আজকের বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর দাবি- নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। ফলে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে অসুবিধা হবেনা।
(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/এমআর)