জামালপুরে র্যাবের অভিযানে ‘অপহরণকারী চক্র’ ধরা
নানা কৌশলে কাজের কথা বলে ডেকে এনে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করতো একটি চক্র। ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযানে নেমে অস্ত্র ও গুলিসহ ওই চক্রের তিন জনকে আটক করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে দুই জনকে।
শুক্রবার সকালে র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। বাহিনীটি জানায়, ঢাকার দুই যুবককে অপহরণ করে যমুনার চরে জিম্মি করে রাখার খবর পেয়ে র্যাব-১৪ এর (জামালপুর কোম্পানি) একটি দল গত বুধবার থেকে আজ ভোর পর্যন্ত এই অভিযান চালায়।
আটক তিন জন হলেন সাজ্জাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও বাদল শেখ। আটক তিন জনের বাড়ি গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার চরাঞ্চলে। এদের বিরুদ্ধে জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও ছিনতায়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
আটক তিন জন রনি মিয়া ও আব্দুল আল ফরহাদ নামে দুই জনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিল।
র্যাব জানায়, আটক তিন জনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, দুইটি ম্যাগজিন, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও মুক্তিপণের সাড়ে ১৬ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। তবে এই চক্রের মূল হোতা ইউনুস আলী এবং তার দুই সহযোগী সুজন ও সাজু পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অপহরণকারীরা ঢাকার এসি মেকানিক এবং ওয়েল্ডিং অপরেটরদের মালিকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে কাজের কথা বলে তাদেরকে জামালপুরে নিয়ে আসতো। পরে যমুনার দুর্গম চরে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো।
চক্রটি ঢাকার বাড্ডার সাতারকুল এলাকার লক্ষ¥ীপুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মনির হোসেন সাজুকে কাজের কথা বলে দেওয়ানগঞ্জের চরে আটকে রাখে। পরে মালিক ও পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার মুক্তিপণ আদায় করে তাকে ছাড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ অধিনায়ক শরিফুল ইসলাম ও কোম্পানি কমান্ডার হায়াতুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি