ভিক্ষুক পুনর্বাসনে খুলনা বিভাগের পুলিশের একদিনের বেতন

শেখ আবু হাসান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৯ | প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৫
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান ও বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ

খুলনা বিভাগীয় ভিক্ষুক পুর্নবাসন কর্মসূচিতে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ১০ জেলার সব পুলিশ সদস্য তাদের একদিনের বেতনের টাকা দান করেছেন। পুলিশ সদস্যদের একদিনের বেতনের ৫৮ লাখ ১২ হাজার ২০৯ টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদের কাছে দেন।

শনিবার নড়াইলে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের মাসিক কনফারেন্সে এই টাকার চেক তুলে দেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান।

খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে খুলনা বিভাগীয় ভিক্ষুক পুর্নবাসন কর্মসূচি গত তিন মাস ধরে পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে খুলনা রেঞ্জের আওতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সব পুলিশ সদস্য তাদের একদিনের বেতন দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই অংশ হিসেবে আজ নড়াইলে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের মাসিক সভায় পুলিশ সদস্যদের একদিনের বেতনের ৫৮ লাখ ১২ হাজার ২০৯ টাকার এই চেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদের হাতে দেয়া হয়। পুলিশের মাসিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা র‌্যাব-৬-এর সিইও খন্দকার রফিকুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান ও একরামুল হাবিব। এ ছাড়া এই কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ঢাকাটাইমসকে জানান, গত চার মাস আগে থেকে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে খুলনা জেলাসহ বিভাগে ভিক্ষুক মুক্তকরণ, কর্মসংস্থান ও পুর্নবাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। খুলনা জেলায় তিন হাজার ৫৫১ জন ভিক্ষুককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ভিক্ষুককে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় পুর্নবাসন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চায়ের দোকান, সেলাই মেশিন, ভ্যান বিতরণ, পুরাতন/নতুন কাপড় বিক্রি, কাঁচামালের ব্যবসা, ঝালমুড়ি সরঞ্জাম, মুদির দোকান, ডিম বিক্রি, পানের দোকান, বাদাম বিক্রি ও ওজন মাপার যন্ত্র। এছাড়া যারা অক্ষম, তাদেরকে রশনিংয়ের আওতায়, ১০ টাকা কেজি দরে চালের আওতায়, ৪০ দিনের কর্মসূচি, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা ও প্রতিবন্দি ভাতার আওতায় আনা হয়েছে।

ডিসি জানান, ইতোমধ্যে এই কর্মসুচিতে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের একদিনের বেতন এই কর্মসূচিতে দান করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন বেরসকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচিতে অনুদান দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এসএএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :