ফুলবাড়ীতে বোরো রোপনে ব্যস্ত কৃষক

রজব আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১০:৩৩

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো রোপন। এ কারণে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অনেকে রাত-দিন মাঠেই সময় কাঠাচ্ছেন।

এদিকে গত বছরের তুলুনায় মূল্য বেড়ে গেছে পানি ও মজুরির। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও সময় মত মিলছে না মজুর ও পানি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্রই শুরু হয়েছে বোরো রোপন।

কৃষকরা জানান, গত বোরো রেপন মৌসুমে সেচ মূল্য ছিল একর প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা, এখন সেচ পাম্প মালিকেরা এই বছর একর প্রতি ৪ হাজার টাকা নিচ্ছেন। তাও সময় মত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

এছাড়া গত বছর মজুরের মূল্য ছিল ২০০ টাকা, এবার ৩০০ টাকা দিয়েও সময় মত মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। এতে গত মৌসুম থেকে এই বছর বোরো চাষে উৎপাদন খরচ বাড়বে।

তবে পাম্প মালিকরা বলছেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারণে সময়মত পানি দেয়া যাচ্ছে না।

উপজেলার ঝকঝকা গ্রামের বোরো চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমে একর প্রতি সেচ মালিকেরা পানির দাম নিয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা, এই বছর পানির দাম নিচ্ছেন একর প্রতি ৪ হাজার টাকা। একই কথা বলেন, রশিদপুর গ্রামের আউয়াল মিয়া, রাজারামপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন ও বারকোনা গ্রামের আতাউর রহমান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এই উপজেলার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৭৫২ হেক্টর। প্রতি বছরে এই লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করে ১৮০০ থেকে ১৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়ে থাকে। এই বছরেও এই লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপজেলা সেচ কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি বলেন, উপজেলা সেচ কমিটি সেচ মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। এই মূল্যর বেশি টাকা কোন সেচ পাম্প মালিক নিতে পারবে না। যদি কোন সেচ পাম্প মালিক, সেচ কমিটির বেশি টাকা কৃষকদের নিকট আদায় করে, তাহলে ওই সেচ পাম্প মালিকের সেচ লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :