লঞ্চের কেবিনবয়ের সততা

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:৫২

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুরে লঞ্চে ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকা পেয়েও ফেরত দিয়ে কেবিনবয় রনি সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিশ্চিত করেন ইমাম হাসান-২ লঞ্চ মালিকের প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার। তিনি জানান, ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী এমভি ইমাম হাসান-২ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এ লঞ্চের ৩০৬ নং কেবিনটি ভাড়া নেন জনৈক মুকবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম। তাদের বাসা চাঁদপুর শহরের স্টেডিয়াম এলাকার মাদ্রাসা রোডে। বিকাল সোয়া তিনটার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর এলে মুকবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার, একটি মোবাইল সেট, নগদ ১০ হাজার টাকাসহ তার ব্যানিটি  রেখে নেমে যান। কেবিনবয় জহিরুল ইসলাম রনি কেবিন তল্লাশি করতে গিয়ে দেখেন ব্যাগটি। পরে তা খুলে দেখেন এসব মালামাল।

তিনি তাৎক্ষণিক লঞ্চ মালিকের প্রতিনিধি আলী আজগর সরকারের কাছে ব্যাগটি জমা দেন। তিনি ব্যাগটি হেফাজত করে রেখে দেন। বিকাল ৪টার দিকে স্বর্ণের মালিক মুকবুল আহমেদ এসে ব্যাগটি পাগলের মত খুঁজতে থাকেন।

এ সময় আলী আজগর সরকার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে বলেন, আপনার ব্যাগ আছে। তাৎক্ষণিক মুকবুল আহমেদের নিকট ব্যাগটি পৌঁছে দেন। তিনি খুশি হয়ে কেবিনবয় রনিকে মাত্র ২শ টাকা বকশিস দেন। এ সময় উপস্থিত সবাই বলতে থাকেন- ‘একেই বলে সত্যিকারের সততা।’

রনি পটুয়াখালী জেলার ধমকি উপজেলার দক্ষিণ মুড়াদিয়া এলাকার নিজাম উদ্দিন কাজীর ছেলে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও রনি ঈগল লঞ্চে  চাকরি করা অবস্থায় ১ লাখ টাকা ও প্রচুর স্বর্ণ পেয়ে মালিককে ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)