ভালো নেই বাউলরা

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:৪২

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য লোক সঙ্গীতকে এখনও আগলে রেখেছেন পাবনার বেশকিছু বাউল শিল্পী। মা, মাটি, দেশ, প্রেম, বিরহের নানা বিষয় নিয়ে গান রচনা ও সুর করেন তারা। জেলার প্রত্যন্ত পল্লীগুলোতে যে সব বাউল শিল্পী এসব গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, ভাল নেই তারা। মনের টানে সুস্থ সংস্কৃতি ধারাকে ধরে রাখলেও অযত্ন, অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে লোক সঙ্গীত।

একটা সময় ছিল বাউল গানের আসর বসতো বাড়ি-বাড়ি, বিভিন্ন সমাজিক উৎসবসহ হাট বাজারে। লোক সংস্কৃতি চর্চা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সময়ের পালা বদলে এখন সেখানে ভাটার টান। প্রত্যন্ত পল্লী পাবনার গৌরীগ্রাম। পাবনা শহর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে সাঁথিয়া উপজেলায়। বাউল আর কবিয়ালদের আড্ডায় এই নিভৃত পল্লীর সংস্কৃতি যেন, বংশ পরমপরায় তাদের বেঁচে থাকার গল্পই বলে। আর তাইতো জীবিকার তাগিদে লোকশিল্পিদের আসর বসে এই গাঁয়ে। গ্রামবাংলার বিলুপ্ত অনেক ঐতিহ্যবাহী গানগুলো ধরে রেখেছেন এই বাউল শিল্পীরা।

গৌরীগ্রামের বাউল শিল্পী মন্তাজ আলী বয়াতীর বয়স ৫২ বছর। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, সেই ছোট বেলা থেকে এই বাউল গান আঁকড়ে ধরে রেখেছি। এখনো গাই, মৃত্যু পর্যন্ত গেয়ে যাব।

বাউল শিল্পী ইউনুস আলী বয়াতী বলেন, বাবা গাইতেন। আমিই গাই, দল বেঁধে গান গাইতে খুব ভালো লাগে। তাই গাই।

তবে দীর্ঘদিন ধরেই লোকসংগীতকে পরম যতেœ আগলে রাখা আবুল কাশেম বয়াতী বলেন, কোথাও কোন স্বীকৃতি পাননি তারা। এই শিল্পির দাবি, আবহমান গ্রাংবাংলার এসব লোকগাঁথা ও লোকসংগীতকে রক্ষায় প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।

বাউল শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষক তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল ঢাকাটাইমসকে বলেন, সামাজিক ভাবেও অনেক সময় অবমূল্যায়ন করা হয় এসব বাউল শিল্পিদের। তাই তাদের পাশে থেকে ভালো লাগে।

লোক সংস্কৃতি গবেষক ড. এম আব্দুল আলীম বলেন, এই বাউল শিল্পীদের সরকারি সহযোগিতা করা গেলে গ্রাম বাংলার এসব লোকঁগাথা ও লোক সঙ্গীতকে রক্ষা করা সম্ভব।

(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :