পিরোজপুরে জেলা ইজতেমা শুরু কাল
পিরোজপুরে তিন দিনের জেলা ইজতেমা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই ইজতেমা। পিরোজপুরের পৌর শহরের বলেশ্বর নদী সংলগ্ন আমলাকাঠী, খুমুরিয়া এলাকার ‘লোপা ব্রিকস্ ফিল্ড’ মাঠে তাবলিগ জামায়াতের এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের মেহমানসহ বিভাগ ও জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সুযোগ-সুবিধার জন্য সকল ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে পানি সরবরাহ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত টয়লেট ব্যবস্থায় স্বেচ্ছসেবক দল নিরলসভাবে কাজ করছেন।
জেলা জিম্মাদারের দিক নির্দেশনায় বিশাল কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে এগুচ্ছে। প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে ইজতেমাস্থল তৈরি করা হয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালনায় সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, পিরোজপুর পৌর শহরের বলেশ্বর নদী সংলগ্ন খুমুরিয়া এলাকার ‘লোপা ব্রিকস্’ মাঠে এই প্রথম তিন দিনব্যাপী (এক বছর পরপর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আঞ্চলিক ইজতেমা। এ ইজতেমায় প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতার সম্পন্ন প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। বিদেশি মেহমানদের একটি অংশ পিরোজপুরে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
ইস্তেমার প্রস্তুতি ও আয়োজন দেখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ময়দান পরিদর্শন করেছেন। ইজতেমাস্থল পরিদর্শন করেছেন- পিরোজপুর-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আ.লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম শেখ, পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আ. খালেক, পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ও জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান মহারাজ প্রমুখ।
পিরোজপুরের সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল মন্নান মল্লিক ঢাকাটাইমসকে জানান, ইজতেমায় ব্যবহৃত হাজার হাজার বাঁশ কেনা (ক্রয়কৃত) না। বিভিন্ন সাথী ভাইয়ের তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় দিচ্ছেন। এক সাথী ভাই অন্য সাথী ভাইয়ের সাথে আলাপ করে এসব সংগ্রহ করেন এবং স্বেচ্ছায় ময়দানে পৌঁছানের ব্যবস্থা করেন। আমরাও এগুলো নিয়ে আসছি।
জেলার ৫নং টোনা ইউনিয়নের যুবক মো. সজিব হাওলাদার বলেন, আমরাও এখানে কাজ করেছি। ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদভিত্তিক মাশোয়ারা (আলোচনা) করে নির্ধারিত ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকরান এ কাজে যোগ দেয়।
পিরোজপুর জেলা তাবলিগ জামাতের জিম্মাদার (আমির) এবিএম মো. নূরুল হক ঢাকা টাইমসকে জানান, আলহামদুলিল্লা, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ইজতেমার ময়দানের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের এ কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এ ইস্তেমায় পিরোজপুর জেলাসহ বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, বানরীপাড়া, ঝালকাঠীসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা এখানে জমায়েত হবেন।
তিনি বলেন, ইজতেমায় ঢাকার কাকরাইল থেকে ১৫-১৬ জন মুরব্বি যোগ দেবেন। এছাড়া, সৌদি আরবের তাবলিগ জামাতের একটি দল ইতোমধ্যে পিরোজপুরের এসে পৌঁছেছে। তারা জেলার উত্তর শিকারপুরের একটি মসজিদে অবস্থান করছেন।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানান, আমি ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। ইজতেমাস্থলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা, ডিটেক্টর দিয়ে চেক পোস্ট ও আটচুয়ে গেইট স্থাপনসহ তিন স্তরের নিরাপত্তাসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে আমদের পক্ষ থেকে।
(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)