চার ধাপে সিএনজি ছিনতাই

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৩১ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চারটি ধাপে চারটি গ্রুপ কাজ করে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। একটি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন সব তথ্য জানা গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে চারটি গ্রুপের কাজ সম্পর্কে র‌্যাব জানায়, একটি গ্রুপ যাত্রী সেজে সিএনজি চালককে চা পান করিয়ে অচেতন করে। একটি গ্রুপ প্রাইভেটকার যোগে ওই অচেতন চালককে নির্জন স্থানে ফেলে আসে। আরেকটি গ্রুপ সিএনজিটি চালিয়ে তাদের পূর্বনির্ধারিত গ্যারেজে লুকিয়ে রাখে। সর্বশেষ গ্রুপটি সিএনজির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে।

চালককে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে সিএনজি ছিনতাই চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ তিনজনকে রাজধানীর মিরপুর, রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলো-  মো. বাদশা মিয়া ওরফে বেলাল হোসেন (৩৫), মো. আবদুর রহমান (২৫) ও আজিজুল খান (৪১)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি সিএনজি, নয়টি মোবাইল ফোন, ৭৫টি মোবাইল সিম এবং সাড়ে ৭৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।  

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে র‌্যাব।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে র‌্যাব জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারি সিএনজি অটোরিকশার মালিক কাওছার ভুইয়াকে অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়,  ‘আপনার গাড়ি চুরি হয়ে গেছে এবং ড্রাইভার শিল্পকলা একাডেমীর সামনে পড়ে আছে।’ পরে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত নয়টার দিকে অন্য আরেকটি অজ্ঞাত মোবাইল ফোন হতে ফোনে জানায়, ‘আপনার সিএনজি আমাদের হেফাজতে আছে এবং এই সিএনজি ফিরে পেতে এক লাখ টাকা দিতে হবে।’ এরপর সিএনজির মালিক কাওছার ৮০ হাজার টাকায় সমঝোতা করে এবং ৪৬ হাজার টাকা  বিকাশের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের দেয়ার পরও গাড়ি ফেরত দেয়নি চক্রটি।

পরে ১০ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-৩ এ একটি অভিযোগ করেন কাওছার। ১১ ফেব্রুয়ারি  থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটা পর্যন্ত র‌্যাব-৩-এর মেজর ফাহিম আদনান সিদ্দিকী এবং সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আবদুর রকিব খানের নেতৃত্বে রাজধানী মহানগরীর মিরপুর, রামপুরা, রমনা ও খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালানো। এতে আটক হন সিএনজি ছিনতাই চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড বাদশা মিয়া ওরফে বেলাল হোসেন, আবদুর রহমান এবং আজিজুল খান।
র‌্যাবের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, চক্রটির অন্য সদস্যদের  গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ ফেব্রুয়ারি/এএ /মোআ)