বিচারকশূন্য নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল

মো. আমিনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ
| আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:১২ | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:০৬

নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সুনামগঞ্জ আদালত দীর্ঘদিন ধরে বিচারকশূন্য। এ কারণে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় বিচারপ্রার্থীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান।

বেঞ্চ সহকারীদের মতে, বিচারক না থাকার কারণে মামলাজটের পাশাপাশি আদালত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জটিলতারও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না তারা।

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম ও বেঞ্চ সহকারী নুর উদ্দিন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জ আদালতে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো বিচারক নেই। এর আগে এ আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান মো. আবু সুফিয়ান।

তিনি থাকাকালীন ৮ মাসে এ ট্রাইব্যুনালে প্রায় ৮০০ মামলার নিষ্পত্তি হয় বলে জানায় আদালত সূত্র।

আবু সুফিয়ানের অবসর নেয়ার পর অতিরিক্ত দায়িত্বে এ আদালতের বিচারকার্য পরিচালনা করে আরো প্রায় ৩০০ মামলার নিষ্পত্তি করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান। তবে বিচারক সংকটে সৃষ্ট মামলাজটের কারণে ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে রায়ের অপেক্ষায় আটকে আছে আরো এক হাজার ৩৫৫টি মামলা।

মামলা জটে বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাদের মতে, যত দ্রুত সম্ভব এ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সংকট কাটিয়ে ওঠা দরকার। কারণ চলমান পুরাতন মামলার পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে এ ট্রাইব্যুনালে বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন মামলার সংখ্যা।

বিষয়টির গুরুত্ব পর্যালোচনা করে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের বিচারক সংকট কাটিয়ে উঠতে আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শুকুর আলী বলেন, ‘দিন দিন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু বিচারক না থাকার কারণে বিচারপ্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।’

জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হক বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক থাকা অত্যন্ত জরুরি, বিচারকশূন্যতার ফলে নিয়মিত মামলার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকশূন্যতা অবশ্যই কাটিয়ে ওঠা জরুরি।’

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :