ভারতীয় বাজারে ট্যারিফ বাধার অবসান চান বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারতীয় বাজারে ট্যারিফ বাধা দূর করতে দেশটির প্রতি আবেদন জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যালকোহল ও টোবাকো ছাড়া ভারতের বাজারে আমাদের সব পণ্যই শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। তবে ভারতের বাজারে ট্যারিফ, নন ট্যারিফ এবং প্যারাট্যারিফ বাধায় আমাদের বেশকিছু পণ্য রপ্তানিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আবেদন জানান।

মেলার আয়োজন করেছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এক্সট্রিম এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড। মেলায় অন্যান্য সহযোগিতা করেছে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস। এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি এখন ৩৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানিই ২৮ বিলিয়ন ডলার। তবে ভারতের বাজারে এখনো আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। যদিও আমাদের রপ্তানিকারকরা ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানির চেষ্টা করছেন।’

তোফায়েল আহমেদ জানান, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। ইতিমধ্যে ভারত এদেশে ১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে দেশটির হাইকমিশনার জানিয়েছেন। তাদের জন্য তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শিংলা বলেন, ‘এই মেলা বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াবে। আমাদের দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহৎ। এটা শুধু ট্রেড ফেয়ার নয়। এর মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কও বৃদ্ধি পাবে।’

বাগেরহাট, মংলা ও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করায় এখানে ভারতীয় বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এ পর্যন্ত আমাদের সবগুলো ট্রেড ফেয়ার সফল হয়েছে। আমি আশা করি, ভারতীয় অংশগ্রহণকারীরা এখান থেকে হাসিমুখে ফিরতে পারবেন।’ ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান মাতলুব।

মেলায় ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অটোমোবাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হোম অ্যাপলায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল, পেইন্টস, ব্যাংকিং সেবা, পাওয়ার জেনারেশন, ইনসুরেন্স, টেক্সটাইল, সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার ইত্যাদি বিশেষায়িত খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।

আয়োজকরা জানান, এখানে যেসব কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে তারা বাংলাদেশে ব্যবসা প্রসার করবে। এ মেলা বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।  

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/জেআর/জেবি)