নিরাপদ ঢাকা গড়তে মেয়র আনিসুলের প্রত্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৬

বিদায় নেয়ার আগে নগরীকে নিরাপদ, ক্লিন ও ভাল লাইটিং ব্যবস্থা করে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘মেয়র পদ থেকে বিদায় নেয়ার আগে এমন কাজ করে যেতে চাই, পাঁচ বছর পর ঢাকাবাসী যেন আমাকে মিস করে। ঢাকাকে নিরাপদ, লাইটিং, ক্লিন ও গ্রিন সিটি করে যেতে চাই।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী বারিধারায় এক হোটেলে ডিএনসিসির আরবান ডিজাস্টার রেসিলেন্স ইনডেক্স (ইউডিআরআই) এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল বলেন, ‘আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ঢাকা শহরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে এবং আগামী মার্চের মধ্যে শহরে কেউ অন্ধকার খুঁজে পাবে না।’ তিনি বলেন, ‘গত পরশু কন্ট্রোল রুমের লাইটের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের ৪৪২ কোটি টাকা দিয়েছেন। ঢাকা শহরকে আমরা লাইটিং করতে আমরা খুবই কেয়ারফুল।’

ঢাকায় মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বদলে গেছে। পাঁচ হাজার ২০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) লাগানোর জন্য ইতোমধ্যে ডোনেশন পেয়েছি। এই এলাকায় আসার পর শুধুমাত্র করপোরেট, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীরা ১৮ কোটি টাকা দিয়েছে।’

এ সময় আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডিএনসিসির রাস্তার কাজ শেষ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র। বলেন, ‘পাবলিক স্পেস তৈরি করতে আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা তা পেয়ে যাব বলে আশা করছি।’

যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় নিজ নিজ এলাকার জনগণকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে কাউন্সিলরদের প্রতি তাগিদ দিয়ে আনিসুল হক বলেন, আশপাশের দেশে বড় ভূমিকম্প হওয়ায় আমরা ভয়ে আছি। রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় এক লাখ ৬৬ হাজর ৫৬৬টি ভবন ধ্বংস হয়ে যাবে। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হবে ৭৫ হাজার ভবন।

রানা প্লাজার উদাহরণ টেনে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপ সরাতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগেছে। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সুশাসনের অভাব রয়েছে।’

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাইকার প্রতিনিধি তাকাতোমি নিশিকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের ডিন ড. এ এস এম মাকসুদ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এএকে/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :