চট্টগ্রামে হচ্ছে তিন হাজার প্লটের আবাসন প্রকল্প

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:১২ | প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:১৬
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে তিন হাজার প্লটের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। প্রকল্প বাস্তবায়নে একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

সবকিছু ঠিকঠাক হলে আগামী মার্চ মাসের শুরুতে এ আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। এতে কাঠা প্রতি মূল্য ১৫ লাখ টাকার নিচে এবং জামানত হতে পারে ১০ লাখ টাকা। যা অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া বৃহৎ এই প্রকল্পটির প্রজ্ঞাপন সম্প্রতি হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চউক চেয়ারম্যান মো. আবদুচ ছালাম। তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বরাবরে চিঠি দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম শেষ হলে জানা যাবে ভূমি অধিগ্রহণের মূল্য কত লাগতে পারে এবং তা বিশ্লেষণ করে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চউকের অংশের খরচ ধরে প্লটের দাম নির্ধারণ করা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, একনেকে কাঠাপ্রতি মূল্য ১৫ লাখ টাকা দরে অনুমোদন নেওয়া হলেও এখনই তা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ে মূল্যায়নের পর তা হয়তো কমেও আসতে পারে। তবে এর চেয়ে বেশি হবে না। জামানতের পরিমাণও চূড়ান্ত করা হয়নি।

ব্যাংক ঋণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবদুচ ছালাম বলেন, বৃহৎ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। তাই প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঋণ পরিশোধ করা হবে।

ভূমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) দৌলতুজ্জামান খান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা সিডিএ থেকে পাওয়ার পর সম্ভাব্যতা যাচাই করে রিপোর্ট দাখিলের পর ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভা হবে। সেই সভার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হবে।

চউক সূত্র জানায়, ঋণের বিষয়ে ইউসিবি ব্যাংকের সাথে চউকের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। ইউসিবি ছাড়াও অর্থায়নের বিষয়ে অনেক ব্যাংক এগিয়ে আসছে। ইউসিবি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণের জন্য চউকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে সব টাকা আমরা একক ব্যাংক হিসেবে বিনিয়োগ না করে আরও কয়েকটি ব্যাংক যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে।

সূত্র আরও জানায়, এটি হবে অনন্যা আবাসিকের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প। এর আগে ২০০৮ সালে ১৭০০ প্লটের অন্যান্য আবাসিক এলাকা বাস্তবায়নের সময় পাঁচলাইশ ও কুয়াইশ মৌজা থেকে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। সে সময় কাঠাপ্রতি মূল্য ধরা হয় ৬ লাখ টাকা। নতুন প্রকল্পটি পাঁচলাইশ, বাথুয়া ও কুয়াইশ মৌজার প্রায় ৪০০ একর ভূমিতে বাস্তবায়ন হবে।

নতুন এই আবাসন প্রকল্পে থাকবে অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। আর এটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেরা একটি প্রকল্প হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/আইকে/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা