নির্বাচন প্রতিহতের ক্ষমতা বিএনপির নেই: কাদের

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৩৬ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৪৩

রাজশাহী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিএনপি যতই হুমকি-ধামকি দিক, তাদের নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই হুঁশিয়ারির জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী পারেনি, আগামীতেও পারবে না।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির আন্দোলনে ব্যাপক নাশকতা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে এবং প্রধান বিরোধীদলের বর্জনের মুখে তিন বছর পার করেছে। নির্বাচিত মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
 
নির্বাচনের পৌনে দুই বছর বাকি থাকতে দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার আশঙ্কায় দলের নেতারা। এই মামলায় সাজা হলে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা হারাবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির নেতারা বলছেন, এমনটি হলে আগামী নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
 
বিএনপির এই হুঁশিয়ারির জবাব দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনও প্রতিহত করার কথা বলেছিল। তারা তখন জ্বালাও-পোড়াও করেও তা পারেনি। আসলে তাদের সে ক্ষমতা নেই। বিএনপি জনগণের রায় অমান্য করলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবের।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে আরও প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ার তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল হয়েছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলব- কাজে-কর্মে স্মাট হতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে নিজেদের এগিয়ে নিতে হবে।’

ভদ্র ও শালীন আচরণ দিয়ে জনগণের মন জয় করতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে নির্দেশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আচার ব্যবহারে ডিজিটাল হতে বলব না। সেটা এনালগ থাকাই ভালো। ছোটদের ¯েœহ, বড়দের শ্রদ্ধা, শালীনতা বজায় রাখা- এগুলো এনালগ আচার-ব্যবহার।’

‘বাংলাদেশ এখন নেতা উৎপাদানের বড় কারখানায় পরিণত হয়েছে। এজন্য সব সেক্টরে কর্মীর সংখ্যা কমেছে, নেতার দাপট বাড়ছে’- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এখন কর্মী উৎপাদনের কারখানা গড়ে তোলা দরকার।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন নেতা উৎপাদনের বিরাট কারখানা। পাতি নেতা, সিকি নেতা- হরেক রকমের নেতা। তাদের ছবি দেখি বিলবোর্ডে। সামনে দেখলে চিনতে পারি না। বিলবোর্ডে সবাই নায়ক হয়ে যায়। এরা নিজেদের প্রচারণায় শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে, ওবায়দুল কাদেরকে ব্যবহার করে। এসব নেতা থেকে সাবধান। দেশকে কর্মী উৎপাদনের কারখানা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মুনির হোসেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ই এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৬৫টি স্টল রয়েছে। তিন দিন ব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/ডব্লিউবি