চাইলে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো যেত: জাফর ইকবাল
এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেছেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। বলেছেন, এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি আছে। মন্ত্রণালয় চাইলে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো যেত।
শুক্রবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘শব্দকল্পদ্রুম পিপীলিকা বাংলা উৎসবে’যোগ দেন জাফর ইকবাল।
সম্প্রতি এসএসসির গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয় এর সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। গণিত ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমন প্রমাণ পেলে পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমরা সামান্য পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পারি না। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কী হতে পারে।’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে না জানিয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে প্রশ্নপত্রের ভিন্ন ভিন্ন সেট থাকে। যেমন ‘এ’ সেট, ‘বি’ সেট, ‘সি’ সেট ইত্যাদি। সবগুলো সেটই আউট হয়ে যাচ্ছে। এর মানে হচ্ছে কর্তৃপক্ষ আন্তরিক নয়।’
জাফর ইকবাল বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ছাপানো ও বিতরণ যার দায়িত্ব, আমি তো দেখলাম না তার কোনো শাস্তি হতে। এত বড় একটা অন্যায় হচ্ছে, উনার গাফিলতির কারণে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। আমি যদি দেখতাম যে জড়িতদের জেল দেয়া হচ্ছে, তাহলে ধরে নিতাম যে এটা রোধ করার জন্য তারা আন্তরিক। কিন্তু কারো কোনো দায়দায়িত্ব নাই। উনারা ধরে নিয়েছেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে এবং এভাবেই চলবে। এভাবে চলতে পারে না আসলে।’
প্রশ্ন ফাঁসের কুফল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁস দেখেনি, নিজের মতো করে পরীক্ষা দিয়েছে, সে যখন দেখে একজন ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে তার চেয়ে ভালো কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তখন তার যে মনোবেদনা, তাকে কীভাবে কী বলে সান্ত্বনা দেব, সেটা ভেবে আমি কূল পাই না।’
(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/জেবি)