মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা বাছাই তিন মাসের জন্য ‘স্থগিত’

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:৪৫ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:০০

সৈয়দ মাহফুজ রহমান, ঢাকাটাইমস

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলমান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম হাইকোর্টের এক আদেশে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন শরীফ বাদী হয়ে করা একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত। তবে রিটকারী দাবি করেছেন, তিনি এই পিটিশন করেননি। কেউ ষড়যন্ত্র করে ভুয়া সই দিয়ে এটা করে থাকতে পারে।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসাইন ও বিচারক মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই স্থগিতাদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব এসএম ফরিদ উদ্দিন।

এদিকে এই কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার সংবাদে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দায়েরকৃত রিট আবেদনকে ভুয়া দাবি করে শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এমাদুল হক খান, মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, লুৎফর রহমান, মজিবর রহমান মুন্সি, গোলাম রহমান কামাল, শাহদাৎ হোসেন কামাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মো. বাচ্চু মিয়া আকন।

তবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও রিট পিটিশনের বাদী মো. আলমগীর হোসেন শরীফ বিষয়টি অস্বীকার করে সংবাদকর্মীদের কাছে বলেছেন, এ রিট আবেদনে আমি সই করিনি। তার নাম ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী একটি মহল ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে রিট আবেদন করে যাচাই-বাছাইয়ে জটিলতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সদস্য সচিব এসএম ফরিদ উদ্দিন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে এম.ডি জাকির হোসাইন মাসুদ নামের এক আইনজীবীর পাঠানো ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে এ আদেশ বিষয়ে জানতে পারি। তবে এ বিষয়ে সার্টিফাই কপি এখনো হাতে পাইনি।’ 

এ ব্যাপারে রিট পিটিশনের আইনজীবী এমডি জাকির হোসাইন মাসুদ শুক্রবার রাতে ঢাকা টাইমসকে জানান, রিট আবেদন করেছেন (বাদী) আলমগীর হোসেন। তিনি তার কাগজপত্রে সই-স্বাক্ষর করে গেছেন। রিটকারী অস্বীকার করছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি হয়তো কোনো চাপে এখন অস্বীকার করছেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)