হবিগঞ্জে জামাইর হাতে শ্বশুর খুন

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শ্বশুর কামাল মিয়াকে খুন করেছেন তার জামাই সাজু মিয়া। এ সময় সাজুর অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন শাশুড়িসহ চারজন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।

শনিবার ভোর রাতে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কামাল মিয়া মাধবপুরে উপজেলার রতনপুর গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার পুত্র। আর ঘাতক সাজু শায়েস্তাগঞ্জ থানার সুতাং গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে।

আহতরা হলেন- নিহত কামাল মিয়ার স্ত্রী ছায়েরা খাতুন, মেয়ে নুরজাহান, নেক জাহান ও ভাগিনা স্বপন মিয়া।

আশংকাজনক অবস্থায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় তিন বছর আগে শায়েস্তাগঞ্জ থানার সুতাং গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে সাজু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রতনপুর গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে নুরজাহানের। বিয়ের পর থেকে সাজু ও নুরজাহানের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তবে উভয় পরিবারের চেষ্টায় এ সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগে।

কিন্তু পরে একই সমস্যা দেখা দিলে নুরজাহান বাবার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। শনিবার ভোর রাতে সহযোগীদের নিয়ে সাজু শ্বশুর বাড়ি রতনপুরে আসেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বশুর কামাল মিয়াকে কোপাতে থাকেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে কামাল মিয়ার স্ত্রী ছায়েরা খাতুন, মেয়ে নুরজাহান, নেক জাহান ও ভাগিনা স্বপন মিয়াকেও কুপিয়ে জখম করেন সাজু।

আহতদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সাজু মিয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাঁচজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক কামাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকিদের অবস্থার অবনতি হলে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তাদির হোসেন জানান, খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। আর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সাজু মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)