পাঁচ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটি স্থগিত
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার কয়রা, সাতক্ষীরার আশাশুনি, ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গার ডামুরহুদা এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে এই পাঁচ উপজেলার কমিটি কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটির অভিযুক্ত সদস্যকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব জানান, মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাইয়ে খুলনার কয়রা উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সংশ্লিষ্ট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি রূপসা উপজেলার তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। কমিটির আরেক সদস্য আতিয়ার রহমান মোড়ল তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিযুক্ত। এছাড়া তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত। কয়রা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান সানা এই দুইজনকে কমিটির অন্তর্ভূক্তি বাতিল চেয়ে রিট আবেদনটি করেন।
চুয়াডাঙ্গার ডামুরহুদা উপজেলা কমিটির সভাপতি আবু হোসেন সদর উপজেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১১ বছর এক মাস। এছাড়া কমিটির সদস্য আছির উদ্দিন একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিযুক্ত। অপর সদস্য হাজী মো. নূর হাকিমের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। ডামুরহুদা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল উদ্দিন বিশ্বাস ওই কমিটি বাতিল চেয়ে রিটটি দায়ের করেন।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল হুদা, সদস্য আব্দুল করিম, মো. আব্দুল হান্নান এবং হায়দার আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে আব্দুল হান্নানের মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও বন্ধ রয়েছে। এই কমিটি বাতিল চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি সরদার রিটটি দায়ের করেন।
ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর উপজেলা কমিটির সদস্য শামসুল আলম এবং গোলাম ফারুক হরিণাকুণ্ড উপজেলার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। এই কমিটি বাতিল চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চুন্নু রিটটি দায়ের করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির সদস্য হিসেবে দুইবার নাম এসেছে। ওই কমিটি বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা এসআইএম নুরুন্নবী খান বীরবিক্রম।
(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এমএবি/জেবি)