দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৩৯ | প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:১৫

জার্মানিতে তিন দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাত আটটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৩টা) মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রায় ছয় ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করেন তিনি।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বিষয়ক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও নীতি নির্ধারকদের মতবিনিময়ের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই স্বতন্ত্র ফোরামের তিন দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুক্রবার বায়েরিচার হোফ হোটেলে শুরু হয়।

সম্মেলনে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ৪৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব এবং ৯০ জন সংসদ সদস্যসহ প্রায় পাঁচশ নীতিনির্ধারক অংশ নেয়।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক, ট্রাম্প, ব্রেক্সিট, ইইউ ও ন্যাটো সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন। জার্মান চ্যান্সেলর, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, পোল্যান্ড ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করেন।

শনিবার জার্মানির মিউনিখে হোটেল ব্যারিসার হফ-এ ৫৩তম নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের সঙ্গে এক মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় বাংলাদেশে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশে মিয়ানমারের শরণার্থীদের অস্থায়ী পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। কিন্তু পর্যটন শহর কক্সবাজারে তাদের অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের কারণে সেখানকার পরিবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্যানিটেশন ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটছে- যা তাদেরও অমানবিক জীবন যাপনে বাধ্য করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই বাংলাদেশ সরকার তাদের একটি উন্মুক্ত, স্বাস্থ্যকর এবং নাগরিক সুবিধা সম্বলিত স্থানে সরিয়ে নিতে চায়।’ এজন্য জার্মানি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন শেখ হাসিনা।

প্রায় ঘণ্টাকালব্যাপী এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াবলি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার, উন্নয়ন, শরণার্থী সমস্যাসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলরকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচনের বিষয়ে অবহিত করেন।

এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে যোগ দিলেন।

সফরের প্রথম দিন জার্মান আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইউরোপ প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।

এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, স্বরাষ্ট্র সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :