কুমিল্লা থেকে মোশতাকের বাড়ি-কবর সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০১ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০৫

মাসুদ আলম, কুমিল্লা থেকে

‘ময়নামতি বিভাগ’ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুই দিন পর রবিবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ খন্দকার মোশতাকের বাড়ি উচ্ছেদ, তার কবর অপসারণ এবং সবধরনের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে গেল শুক্রবার ইউরোপ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা-ময়নামতি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কুমিল্লার নাম শুনলে তার বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাকের কথা মনে পড়ে। নতুন বিভাগের নামকরণ ইস্যুতে এক প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার প্রশ্নে সেদিন হোটেল কনফারেন্স কক্ষে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ময়নামতি একটি সুন্দর নাম।

দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে মেঘনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, দাউদকান্দি পৌরসভার মেয়র নাঈম ইউসূফ, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরী লিল মিয়া, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, উপজেলা নারী আওয়ামী লীগ সভাপতি জেবুন্নেছা জেবু, শ্রমিক লীগ সভাপতি রকিব উদ্দীন রকিব, যুবলীগ নেতা হেলাল, ছাত্রলীগ সভাপতি নয়নসহ দাউদকান্দি এবং মেঘনার আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ এ, ছাত্রলীগের নেতারা অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে খন্দকার মোশতাকের বাড়ি দশপাড়ায় যেতে চাইলে ষোলপাড়া এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে রাস্তায় অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কুমিল্লা’ নাম বাদ দিয়ে ‘ময়নামতি’ নামটি বিভাগ হিসেবে ঘোষণার একমাত্র কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কুমিল্লা’ নামটি পছন্দ করেন না। তার কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক, তাহের উদ্দীন ঠাকুর ও কর্নেল রশিদের বাড়ি বৃহত্তর কুমিল্লায়। এই তিন খুনির বাড়ি কুমিল্লা হওয়ায় তাদের উচ্ছেদ এবং তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের জোর দাবি জানান বক্তারা। এই তিন খুনির অপকর্মের দায় দাউদকান্দিসহ কুমিল্লার সাধারণ মানুষ নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতারা।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একনেক সভার পরে পরিকল্পনা মন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, এখন থেকে জেলার নামে আর কোনো বিভাগের নামকরণ করা হবে না। তিনি বলেছিলেন, শিগগিরই বিভাগ হিসেবে কুমিল্লার নাম ঘোষণা করা হবে। এর নাম হবে ময়নামতি। এ নিয়ে দেশে মোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে নয়টিতে।

মুস্তফা কামাল আরও বলেছিলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, কুমিল্লা বিভাগের নাম ময়নামতি রাখা হবে। ভবিষ্যতে কোনো জেলার নামে আর বিভাগ হবে না। নতুন নামকরণ করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএএফ/জেবি)