কাটা হচ্ছে রমনার ঝুকিপূর্ণ গাছ

লেখা ও ছবি : শেখ সাইফ
| আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫৪ | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:১০

গত বছর মার্চের ঘটনা। জননন্দিত নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠু রিকশায় চড়ে ধানমণ্ডি দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকা পথের পাশের একটি গাছ ভেঙ্গে তার মাথায় পড়ে। এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন দিয়ে আমাদের জীবন বাঁচায় গাছপালা। তাই নগর সবুজায়নের পক্ষে বলে থাকেন পরিবেশবিদরা। তবে কোনো গাছ যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে আমাদের। তাই নগরের পথের পাশের বা জনবহুল স্থানের এ ধরনের গাছ অপসারণ জরুরি।

দেরীতে হলেও টনক নড়েছে রমনা উদ্যান দেখভালকারী ঢাকা গণপূর্ত সার্কেলের। এখানকার ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। আজ সোমবার গিয়ে দেখা গেল রমনার হ্রদের ধারে এমন বিশাল একটি গাছ কেটেছে কিছু কর্মী। ডালপালা, গুঁড়ি, কাণ্ড সব আলাদা করা হয়েছে। একে একে ট্রাকে ভরা হচ্ছে এগুলো।

গাছ কাটার কারণ কী? এমন প্রশ্নে তারা জানায়, যেসব গাছের গোড়ার ভেতরে অংশ পোকা খেয়ে ফেলেছে। এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড়ের সময় বা এমনিতেই এগুলো আচমকা পড়ে যেতে পারে। এতে পথচারী বা পার্কে বিচরণকারী জনসাধারণ দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। এজন্য কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণে তাদের নিয়োজিত করেছে।

এই পার্কের এক কর্মচারী বলেন, রমনা পার্কে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে। যদি কারো উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে তাহলে বড় রকমের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অনাকাংখিত এসব দূর্ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উদ্যানের বেশকিছ বৃক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে কাটা হবে। এসব জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হবে।

তবে প্রকৃতিপ্রেমীরা বলছেন, প্রাচীন বৃক্ষ আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এগুলো ধরে রাখতে পারলে ভালো। আর যেগুলোর গোড়া এখনো শক্তপোক্ত আছে, ভেতরে ফেপে যায়নি। সেগুলো যাতে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচানো যায়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে যেগুলো কাটতেই হবে, সেখানে যাতে একাধিক গাছ লাগানো হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন তারা।

ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/এসএস/টিএমএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :