নারায়ণগঞ্জের ডিসিকে তলব, শুনানি আগামী সপ্তাহে
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোনারগাঁও উপজেলার ছয়টি মৌজায় কৃষিজমি, জলাভূমি ও নিচু জমি ভরাট করে ইউনিক প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চ আজ বুধবার বসেনি। বেঞ্চ না বসায় আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ডিসির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার। বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির। ব্যাখ্যা দিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া বুধবার সকালে আদালতে হাজির হন।
আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, বেঞ্চ না বসায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাব্বি মিয়াকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সাঈদ আহমেদ বলেছিলেন, সোনারগাঁয় উপজেলায় ছয়টি মৌজায় কৃষি জমি, নিচু জমি ভরাট করে ইউনিক প্রপার্টিজ সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। এর বিরুদ্ধে বেলা রিট করে। ২০১৪ সালের ২ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে। একইসঙ্গে সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। যে অংশ ভরাট করা হয়েছে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
রুলে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর, জেনপুর, ছয়হিস্যা, চরভাবানাথপুর, ভাটিবান্ধা ও রতনপুর মৌজার কৃষি জমি, জলাভূমি, নিচু ভূমি রক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ সংশোধন করে দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত সেটি স্থগিত করে দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। বিষয় নিষ্পত্তি না করেই আবারও প্রতিষ্ঠানটি মাটি ভরাট শুরু করে।
সাঈদ আহমেদ জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টে রুল শুনানি অবস্থায় ওই প্রকল্পে মাটি ভরাট কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। পরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন এবং তলবের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার আদালত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মাটি ভরাটের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে তলব করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এমএবি/এমআর)