এই ফুচকা কেন খাবেন, কেন শিশুদের খাওয়াবেন
ফুচকা বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষ করে শিশু-কিশোর-মহিলাদের কাছে অতি সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় খাবার। আমি আমার বহু প্রবন্ধে এই ফুচকা খাওয়ার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ঝুঁকি ও বিপদ নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। আমার এক বন্ধুর ছেলে উদয়ন স্কুলের সামনে ফুচকা খেয়ে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় মরতে বসেছিল।
আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্কুলের সামনে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের লাইন ধরে অস্বাস্থ্যকর এই ফুচকা, আচার ও বিভিন্ন নোংরা খাবার কিনে খেতে দেখি। আশ্চর্যের ব্যাপার- মা-বাবারা তাঁদের সন্তানদের প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে খাবার নামের এসব বিষ কিনে দেন, নিজেরাও খান।
শিশুরা অবুঝ হতে পারে। কিন্তু শিক্ষিত মা-বাবারা কেন একটুও ভাবেন না যে, এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে তাদের সন্তানরা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে, এমনকি মারাও যেতে পারে। অনেকেই হয়ত জানেন না যে, যে তেলে ফুচকা ভাজা হয়, তা পোড়া তেল এবং পোড়া তেল মানে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক অবশ্যম্ভাবী।
আমি মাঝে মাঝে চোখে পড়লেই শিশুদের এসব খাবার খেতে নিষেধ করি। ওদের কেউ কেউ শোনে, কেউ আবার শোনেও না। স্কুলের সামনে কর্তৃপক্ষ কী করে এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করার অনুমতি দেয়- তাও আমার বুঝতে কষ্ট হয়।
প্রিয় বন্ধুগণ, অনুগ্রহ করে ছবিগুলোসহ দেশচিত্রটি শেয়ার করুন এবং মানুষকে, বিশেষ করে শিশুকিশোরদের সচেতন হতে একটু সাহায্য করুন। মনে রাখবেন, এভাবে তৈরি ফুচকা অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টেও সরবরাহ করা হয়। শুধু ফুচকা নয়, আরো হাজারো রকম খাবার এদেশে এই পদ্ধতিতেই প্রস্তুত হয়ে থাকে।
লেখক: অধ্যাপক, ক্লিনিকাল ফার্মাসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।