এক ঘোষণায় গ্যাসের দাম বাড়লো দুই বার
মার্চ এবং জুনে দুইবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো একসঙ্গে। প্রথম দফায় বর্ধিত দাম কার্যকর হবে মার্চ থেকে। দ্বিতীয় দফায় কার্যকর হচ্ছে জুন থেকে। আবাসিক থেকে বাণিজ্যিক এবং যানবাহন-সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসির বৈঠক শেষে দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মার্চ থেকে এক চুলার মাসিক বিল হবে ৭৫০ টাকা। আর দুই চুলার বিল হবে ৮০০ টাকা।
আর তিন মাস পর জুন থেকে এই বিল চুলাপ্রতি আরও ১৫০ টাকা করে বাড়বে। তখন এক চুলার বিল হবে ৯০০ টাকা এবং দুই চুলার ৯৫০ টাকা।
এখন পর্যন্ত এক চুলার জন্য ৬০০ এবং দুই চুলার জন্য ৬৫০ টাকা বিল দিতে হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী গৃহস্থালিতে মিটারে যারা গ্যাসের বিল দেন, তাদের মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটারের জন্য নয় টাকা ১০ পয়সা এবং জুন থেকে ১১ টাকা ২০ পয়সা করে দিতে হবে।
মনোয়ার ইসলাম জানান, আবাসিকের পাশাপাশি সব ধরনের গ্যাসের দামই বাড়বে। এ ক্ষেত্রে ১ মার্চ থেকে সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ টাকা এবং ১ জুন থেকে ৪০ টাকা হবে। বিদ্যুৎ, সার শিল্প ও সব শ্রেণির গ্রাহকের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
২০১৫ সালের ১ অগাস্ট গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়িয়েছিল বিইআরসি।
গ্যাস বিতরণে সব কটি কোম্পানি লাভে থাকলেও বর্তমান এই দাম বৃদ্ধি মূলত বিদেশ থেকে আমদানি করা গ্যাসের দামের কারণে। বাংলাদেশে গ্যাসের মজুদ দ্রুত কমে আসছে এবং সরকার এলএনজি আমদানি করে চাহিদা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমানে প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট তিতাস গ্যাসের (এমএমসিএফডি) বিক্রয়মূল্য হচ্ছে ২.৪ মার্কিন ডলার। কিন্তু আমদানি করা গ্যাসের দাম প্রায় ৯ ডলার। দুটি মিলিয়ে তখন ওই গ্যাসের দাম পড়বে প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট ৪ থেকে ৫ ডলার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ অতিরিক্ত ২.৫ মার্কিন ডলারের দাম সমন্বয় করার জন্যই গ্যাসের দাম আরও বাড়ানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য আব্দুল আজিক খান, রহমান মুরশেদ, মাহামুদুল হক ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/জেআর/ডব্লিউবি