বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার নিষ্পত্তি চলতি বছরই: অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৪
ফাইল ছবি

২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় করা হত্যা মামলা চলতি বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, মামলাটিতে একই সাক্ষ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ নিয়ে একটু জটিলতা তৈরি হয়েছে। যা নিষ্পত্তিতে আরো সময় প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি আগামী ২ এপ্রিল ঠিক করেছে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনসহ তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল। আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও আমিনুল ইসলাম।

পিলখানা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য ২০১৫ সালে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলার যুক্তিতর্ক চলতি মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ করতে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল বলেন, ‘আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ। আইনি যুক্তিতর্ক কিছু বাকি আছে, সেগুলো শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষে আইনি যুক্তি উপস্থাপন করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কিন্তু আগামী মাসে স্যারকে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া আইনি যুক্তি উপস্থাপনে প্রস্তুতির জন্যও সময় প্রয়োজন। এ দুটি বিষয় উল্লেখ করে আদালত তা ২ এপ্রিল পর্যজন্ত মুলতবি করেছেন।’

কাজল বলেন, ‘৩৫৬ কার্যদিবস ধরে এ মামলার কার্যকক্রম চলছে। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল নিয়ে ৩৫ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক পাঠ করা হয়েছে ১২৪ কার্যদিবস। বাকি ২৩২ কার্যদিবস রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছে। আজ ৩৫৯ তম দিনে এসে চূড়ান্ত শুনানির তারিখ পেছানো হলো দেশের ইতিহাসে ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় এই মামলাটির।’

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহ করে সে সময়ের বিডিআর সদস্যরা। পরে বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করলে ভেতরে মাটি খুঁড়ে ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের প্রায় সবাই ছিলেন বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত সেনা কর্মকর্তা।

এই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণা করেন। তিনি ১৫২ জনের ফাঁসির পাশাপাশি ১৬১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন।

এই মামলার ৮৫০ জন আসামির মধ্যে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় বেকসুর খালাস পান ২৭৭ জন। আর তদন্ত চলাকালে মারা যান বেশ কয়েকজন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ ফেব্রুয়ারি/এমএবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :