উত্তরায় পুলিশ পাহারায় জমি দখলের অভিযোগ

ইফতেখার রায়হান, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
| আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:৪৪ | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:৫৫

রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ পাহারায় জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কের ১৭ নম্বর প্লটটি বেদখল হওয়ার অভিযোগ করেছেন মালিক রফিকুল ইসলাম।

ওই জায়গায় দখলকারীদের নির্মাণকাজে বাধা দিলে পুলিশ রফিকুল ইসলাম আটকের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ জমির মালিক রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশি পাহারায় আবার নির্মাণকাজ করা হয়।

ঘটনাস্থলে থাকা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মাহবুবকে দখলে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। এতে মালিকপক্ষ বাধা দিলে মাহবুব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখানে সিনক্রিয়েট কইরেন না, সিনক্রিয়েট করলে ঝামেলা হবে’।

পুলিশ পাহারায় জমি দখল সম্পর্কে জানতে চাইলে উপপরিদর্শক মাহবুব বলেন, ‘ওসি স্যারের অর্ডার রয়েছে। জমির মালিক কে সেটা দেখার প্রয়োজন নাই। যারা নির্মাণকাজ করছে তারাই কাজ করবে। আপনারা আমার সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেন।’

এ বিষয়ে জমির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ জমির প্রকৃত মালিক আমার মা আমেনা খাতুন গং। তিনি মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা এ জমির মালিক। বর্তমানে জমিটি আমাদের দখলে রয়েছে। গত ২৫ বছর ধরে রাজউকের সঙ্গে জমিটি নিয়ে আমাদের একটি মামলা চলছে।

রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ‘২০০৬ সালে আমরা জজকোর্ট থেকে একটি রায় পাই। পরবর্তীতে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে রাজউক। সেটিও ২০১২ সালে খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। পরে রাজউক হাইকোর্টে রিভিউ আবেদন করায় বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে রয়েছে। ’

কিন্তু কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ‘জায়গার মালিক আবুল কালাম আজাদ গং’ লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমিটি দখলের চেষ্টা চালায় অভিযোগ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ জমির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের সব কাগজপত্র আমাদের নামে। আমাদের একটি পারিবারিক কবরস্থানসহ ১২ কাঠা প্লটটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।’

রফিক অভিযোগ করেন, ‘ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার আমরা থানায় অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ আমাদের অভিযোগ আমলে নেয়নি। বরং পুলিশের সহযোগিতায় ভূমিদস্যুরা আজকে আমার জমিটি দখল করছে।’

এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শাহ আলম মুঠোফোনে ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘দখলের অভিযোগ মিথ্যা না, বরং পুলিশ গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কাগজপত্র দেখে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :