মানিকগঞ্জের বিশেষ পিপি নুরুল হুদা রুবেলকে মারধরের অভিযোগ

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:২৯

মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারী বিশেষ কৌসূলি ও সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনির নিহতের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম নুরুল হুদা রুবেল হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যানালের এজলাস কক্ষের ট্রেজারি বেঞ্চে বসে নুরুল হুদা রুবেল রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ণ কেস ডকেট (সিডি) নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীর নামের এক ব্যক্তি এজলাস কক্ষে ঢুকে ট্রেজারি বেঞ্চের ওপর থেকে কেস ডকেট ছিনিয়ে নিয়ে আদালত ভবনের নিচ তলায় চলে যান। পড়ে বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীরের কাছ থেকে কেস ডকেট আনতে গেলে রুবেলকে ধরে বেদম মারধর করে। পড়ে আশপাশের আইনজীবীরা ঘটনাস্থলে এসে রুবেলকে উদ্ধার করে।

মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারী বিশেষ কৌসূলি (পিপি) একেএম নুরুল হুদা রুবেল বলেন, দক্ষিণ সেওতা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীরের ছেলে বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীর এক সময় আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। প্রায় তিন বছর আগে বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীর আইনজীবী ভবনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আইনজীবীদের টাকা চুরি এবং নিজ চেম্বারের বসে মাদকদ্রব্য সেবনসহ নানা অভিযোগে তাকে সমিতি থেকে আজীবন বহিস্কার করা হয়। এ নিয়ে বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীর তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। তিনি মনে করেন সেই জের ধরে বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীর তার পরিহিত নেক টাই গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীরের দ্বিতীয় স্ত্রী শিক্ষানবীশ আইনজীবী মুনিরা চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকে। পড়ে আশপাশের আইনজীবীরা এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এ ব্যাপারে বখশী আলী মুহম্মদ আলমগীর বলেন, আমি রুবেলকে মারধর করিনি। এটা মিথ্যা কথা। তিনি দাবি করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যানালের এজলাস কক্ষে রুবেল বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু আইনজীবী নিয়ে তাকেসহ তার স্ত্রী মুনিরাকে বেদন মারধর করেছে। তাদের মারধরে তার (বখশী আলী মুহম্মদ) মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনার পর তিনি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মানিকগঞ্জ জেলা সরকারী আইন কর্মকর্তা (জিপি) মো. মেহের উদ্দিন এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি দাবিক করেন।

মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, এটি অনাকাঙ্কিত ঘটনা। তিনি বলেন, সরকারি ছুটি শেষ হলে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আইনজীবী একেএম নুরুল হুদার কাছ থেকে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :