বাড়ি ফিরেই বদরুলের শাস্তি চাইলেন খাদিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:১২ | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:০৮

সাভার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) তিন মাস চিকিৎসা নেয়ার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। বাড়িতে পৌঁছেই তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো বদরুলের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার বেলা একটার দিকে বিমানযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেটের এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান খাদিজা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মাশুক মিয়াসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য। এরপর সেখান থেকে তারা সরাসরি চলে যান সদর উপজেলার আউশা গ্রামের নিজবাড়িতে।

এর আগে সকালে খাদিজাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন সিআরপির হেড অফ মেডিকেল সার্ভিস এন্ড কনসালটেন্ট নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ সাঈদ উদ্দিন হেলালসহ সিআরপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় শাহজালাল বিমানবন্দরে।

গতকাল খাদিজার অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ সাঈদ উদ্দিন হেলাল জানান, খাদিজার অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যেই সে বাড়ি ফিরতে পারবে। এ তথ্য জানানোর পরদিনই খদিজাকে সিলেটের নিজ বাড়িতে নেয়া হলো।

গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়। হামলার সময় অনেকে আশপাশে দাঁড়িয়ে তা দেখলেও কেউ তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুস্থ হওয়ার পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে খাদিজাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় সাভারের সিআরপিতে। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর খাদিজা আজ সিলেট যান।

বাড়ি ফিরে খাদিজা আবারো লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এবং লেখাপড়া শেষ করে ব্যাংকার হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া তার ওপর হামলাকারী শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের শাস্তি দাবি করেন। বলেন, আমি চাই বদরুলের বিচার দ্রুত শেষ হোক। তার শাস্তি হোক।

২৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার। এর আগেও সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি খাদিজা।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :