মাছ চাষে দুই শতাধিক পরিবারের ভাগ্য বদল

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা
 | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫৯

মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলেছে পাবনার তিন উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। এখান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সরবরাহ হচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে। চাষিরা লাভের মুখ দেখায় বর্তমানে মাছের এই চাষ ছড়িয়ে পড়েছে পাবনার আশপাশের এলাকাগুলোতেও।

ফরমালিন আতঙ্কে অনেকেই যখন মাছ কিনতে ভয় পাচ্ছেন। তখন পাবনার আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী ও সাঁথিয়া উপজেলার ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের উৎপাদিত তাজা মাছ। এসব গ্রামে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই পুকুর আর পুকুর। এসব পুকুরে চাষ হচ্ছে- রুই, কাতলা, মিগেল, সিলবারকাপ, তেলাপিয়া, পাংগাসসহ বিভিন্ন মাছ। পুকুর থেকে মাছ ধারার পর পানি ভর্তি ড্রামে করে তোলা হয় ট্রাকে। সেই ট্রাক চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মাছ চাষিরা বলছেন, মরা মাছের চাইতে জান্ত মাছের চাহিদা বেশি। দামও পাওয়া যায় ভালো।

পাবনার মিয়াপাড়া গ্রামের মাছ চাষিরা শরিয়ত বিশ্বাস বলেন, মাছ চাষে ব্যাপক লাভ। আর তাজা মাছের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। অন্যান্য চাষের চাইতে মাছ চাষ বেশ লাভবান।

জেলার কন্দর্পপুর গ্রামের পান্নু হোসেন এবার ২০ বিঘা পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের আবাদ করেছেন। মাত্র এক বিঘা পুকুর থেকে আজ তার ২০ বিঘা পুকুরে মাছ চাষ হয়। অল্প দিনের ব্যবধানে তিনি আজ স্বাভলম্বী। তার মত জেলার অনেক চাষিই আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন মাছ চাষ করে।

তবে মাছ চাষি পান্নু হোসেন বলেন, মাছ পরিবহনে পুলিশি হয়রানিসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণ না পাওয়ার কথা জানান চাষিরা।

মালিগাছা ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের মাছ চাষি আ: কুদ্দুস বলেন, মাছ চাষে ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত তারা। ব্যাংক ঋণ পেলে মাছ চাষে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হতে পারে বলে জানান তিনি।

পাবনার সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে মাছ চাষিদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণসহ ঋণ সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসেবে, প্রতি বছর পাবনা জেলায় ৬৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন মাছ যায় ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :