প্রচার না থাকায় জমছে না খাগড়াছড়ির বইমেলা

মো. মাইনউদ্দিন, খাগড়াছড়ি
  প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:১৬
অ- অ+

মেলা মানেই হাজারো দর্শনার্থীর আনাগোনা, হরেকরকম দোকানপাটের পসরা, বেচাকেনার হাকডাক, সার্কাসসহ নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। কিন্তু বইমেলা একটু ভিন্নতর- লেখক-পাঠকের মিলনস্থল। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার পাঠক লেখকের আড্ডা এবং বই বেচাকেনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে বইমেলা প্রাঙ্গণ। পাঠকরা প্রিয় লেখকদের বই কিনেন নিজেদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে আবার কেউ প্রিয়জনকে উপহার দিতে।

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। আর এ মাসেই দেশব্যাপী করা হয় বইমেলার আয়োজন। পিছিয়ে নেই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িও। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো খাগড়াছড়িতে আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা।

বুধবার মেলার দ্বিতীয় দিন চললেও জমেউঠেনি বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিকাল চারটা থেকে মেলা শুরু হলেও রাত আটটা পর্যন্ত দেখা যায়- তেমন কোনো পদচারণা নেই দর্শনার্থীদের। স্টল খুলে বসে আছেন দোকানিরা। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজবে, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থা ফেইসবুকে ব্যস্ত।

তথ্য অধিদফতরের আয়োজনে বড় স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে প্রামাণ্যচিত্র, কিন্তু দেখার কেউ নেই।

এবার মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন বই বিক্রি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ২৫টি স্টল বসেছে। কয়েকটি স্টলের বিক্রেতাদের সাথে কথা হয়। তারা জানান, এভাবে চললে স্টলের খরচও উঠবে না।

আড্ডা বইঘরের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নতুন অনেক কালেকশান রয়েছে। তবে এবার খাগড়াছড়ির পর্যটন নিয়ে লেখা মীর মোহাম্মদ ফারুক’র লেখা ‘দার্জিলিং থেকে খাগড়াছড়ি’ বইটি বিক্রি হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষিকা রামু চাকমার সাথে কথা হয়। তিনি বইমেলার আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং দর্শনার্থী বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।

গনি লাইব্রেরির মো. রাছেল জানান, প্রতিবছর মেলায় স্টল দেন, তবে এবার মেলায় দর্শনার্থী কম হওয়ায় বেচাকেনাও কম হচ্ছে।

বর্ণমালা বইঘরের মো. মাইনউদ্দিন বলেন, বেচাকেনা কম হলেও এবার মেলায় শিশুদের জন্য লেখা বই, সোনামণিদের মজার ছড়া, ভয়ঙ্কর ভূতের গল্পসহ ইন্টারনেটে অর্থ আয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক এন্ড প্রাকটিক্যাল, রান্নার রেসিপি, এসমস্ত বইয়ের চাহিদা আছে।

মেলার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জিতেন বড়ুয়া জানান, আয়োজকদের দায়সারা কর্মকাণ্ডের কারণেই মেলায় দর্শনার্থী কম। এখনো প্রচার-প্রচারণা চালালে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বইমেলা।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারা দেশে বিএনপির র‌্যালি
১৬ বছরের দুঃশাসন শেষ হতে ১৬ দিন লাগেনি: অসীম
মঈন খানের বাসভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যাহ্ন ভোজ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হবে: তারেক রহমান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা