দেড় বছরে বদলে গেছে বিলুপ্ত ছিটমহল

এস. কে সাহেদ, লালমনিরহাট
 | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪১

গত দেড় বছরে বদলে গেছে বিলুপ্ত ছিটমহলের চিত্র। সন্ধ্যা হলেই জ্বলে উঠছে বৈদ্যুতিক বাতি। যে দিকে দৃষ্টি যায়, চোখে পড়ছে- শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া।

৬৮ বছর পিছিয়ে থাকা বিলুপ্ত ছিটমহলে এখন সন্ধ্যায় হলেই জ্বলে উঠছে বৈদ্যুতিক বাতি। এখানকার বাসিন্দারা এখন পাচ্ছেন সহজ লাভে কৃষি ঋণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারি অনেক সুযোগ। তৈরি হয়েছে নতুন রাস্তা-ঘাট। এগিয়ে চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ। স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিলুপ্ত ছিটমহলে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ক্লিনিক। এখন বিলুপ্ত ছিটমহলের সর্বত্রই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।

সদর উপজেলার ভিতরকুটি ছিটমহলের ৭৯ বছরের আব্দুর রহিম জানালেন, জীবনের শেষ বয়সে এসে এবার ভোটার হয়ে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছি।

তিনি জানান, বেঁচে থাকতে নতুন পরিচয়ে জীবনে প্রথম ভোট দিলাম- এজন্য আমরা খুব খুশি।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে ৬৮ বছরের বন্দী জীবনের অবসান ঘটে ভারত-বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহলের কয়েক হাজার মানুষের। এর মধ্যে ১১১টি বাংলাদেশের এবং ৫১টি ভারতের ভূ-খণ্ডের সাথে যুক্ত হয়। বাংলাদেশের ১১১টির মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় ১২টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, পঞ্চগ্রাম জেলায় ৩৬টি এবং নীলফামারী জেলায় রয়েছে ৪টি বিলুপ্ত ছিটমহল। লালমনিরহাট জেলার ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে সদর উপজেলায় ২টি, হাতিবান্ধা উপজেলায় ২টি ও বাকি ৫৫টির অবস্থান পাটগ্রাম উপজেলায়। তবে পাটগ্রামে ৫৫টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে ১৭টিতে কোন জনবসতি না থাকায় বর্তমানে এগুলোকে আবাদি জমি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :