২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা উচিত: হাফিজ
বিডিআর বিদ্রোহের দিনটিকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল সেটি করেনি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বিডিআর বিদ্রোহের ৮ম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ড : বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় হাফিজ এ কথা বলেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সে সময়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদরদপ্তরে রক্তাক্ত অভ্যুত্থান হয়। পরে বিদ্রোহের অবসানের পর ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এদের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, যারা বিডিআরে প্রেষণে এসেছিল। পিলখানার মাটি খুঁড়ে এবং আশেপাশের নালা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর তিনি ১৫২ জনের ফাঁসির পাশাপাশি ১৬১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
এই ঘটনার স্মরণে ন্যাপের আলোচনায় বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনার পেছনে নেপথ্য শক্তি হিসেবে কারা কাজ করেছে, তা এখনো উদঘাটিত হয়নি। ফলে মূল পরিকল্পনাকারিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা না করার সমালোচনা করে হাফিজ বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাইরে অন্য কোনো কিছুতে জাতীয় শোক পালনে রাজি নয়।’
ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলটির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। অন্যদের মধ্যে এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ঢাকাটাইমস /২৪ফেব্রুয়ারি /বিইউ/ডব্লিউবি