শেষ শুক্রবারে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়
দিনটা ছিলো ছুটির। তার উপর আবার ফেব্রুয়ারির শেষ শুক্রবার। তাই বই মেলায় ছিলো উপচে পড়া ভিড়। মন ভরে বই কিনতে তাই হাজার হাজার বইপ্রেমী হাজির হয়েছিলেন শুক্রবারের বইমেলায়। বাংলা একাডেমির সামনে থেকে দুপুরের পর বইমেলায় ঢুকতে আগত ক্রেতাদের লাইন টিএসসি পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।
শেষ শুক্রবার হিসেবে বিক্রেতারা একটু বেশি বই বিক্রির আশায় বুক বেঁধেছেন। বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দশদিনে বেশ ভালো বই বিক্রি হয়েছে। বিশেষ করে একুশে ফেব্রুয়ারির সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেশ ভালো বেচা-কেনা হয়েছে তাদের।
ক্রেতারাও খুশি এবারের মেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। সাভার থেকে আগত স্কুল শিক্ষিকা সায়মা আফরোজ ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘বইমেলার এবারের পরিবেশ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে হাঁটা যাচ্ছে। আজকে সকাল থেকে দশটি বই কিনেছি। বইয়ের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে।’
বইমেলায় আজকের দিনে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘শুনেছি মেলায় শেষ শুক্রবারের কারণে অনেক স্টলে মূল্য ছাড় চলছে। মেলায় এসে তাঁর প্রমাণও পেয়েছি।’
তবে ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন এবারে বইয়ের দাম তুলনামূলক ভাবে এবার বেশি। রুপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন বই মেলাতে। তিনি ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘গতবারের তুলনায় এবারে বইয়ের দাম অনেক বেশি। বিশেষ করে বাচ্চাদের বইয়ের দাম।’কিন্তু বিক্রেতারা সে দাবী উড়িয়ে দিয়ে জানাচ্ছেন গতবারের তুলনায় এবারের বইয়ের মূল্য বেশ কম।
মেলায় অনেক স্টল ঘুরে দেখা যায় বেশির ভাগ স্টলগুলোতে ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রয় করতে দেখা যায়। আর বিকাশের মাধ্যমে দাম শোধ করলে ১০ শতাংশ নগদ ছাড়ের সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা।
মেলা প্রাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ভিড় চোখে পড়লো সিসিমপুরের স্টলের সামনে। তবে শিশুদের জন্য যে জায়গাটি বিশেষ ভাবে রাখা হয়েছিলো সেই শিশু চত্ত্বরে ক্রেতাদের ভিড় বিকাল পর্যন্ত খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। ‘ছোটদের মেলা’ স্টলের স্বতাধিকারী শিশির শিকদার ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘শিশু চত্ত্বরটি মেলার পেছনদিকে পড়ে গিয়েছে। অনেকেই এই চত্ত্বরটি সহজে খুজে পায়না। চত্ত্বরটি যদি সামনের অংশে পড়তো তাহলে আরও বেশি বেচা-কেনা’
(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এসও)
মন্তব্য করুন