পোশাকশিল্প অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫৮ | প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:০৩

পোশাকশিল্পকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। পোশাকশিল্প খাতে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। পরোক্ষভাবে প্রায় চার কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল।

শনিবার দুপুরে অ্যাপারেল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা অ্যাপারেল সামিট-২০১৭ আয়োজন করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

রপ্তানিকারকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখতে হলে পণ্যের বৈচিত্র আনতে হবে ও নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রপ্তানি পণ্যের তালিকা খুব বড় নয়; অনেকটা পোশাক শিল্প নির্ভর। এছাড়া এ রপ্তানি মূলত উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের মধ্যে হয়; এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। রপ্তানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। গ্যাসের সঙ্কট মোকাবিলার জন্য এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর থেকে পোশাক শিল্পের স্বার্থে বেশ বিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এই শিল্পে অগ্রিম আয়কর ১.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক সাত শূন্য শতাংশ করা হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পে করপোরেট করের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছি। নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতর জন্য রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং এর কাঁচামাল ও অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রপাতির আমাদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাময়িকভাবে সকল পোশাক রাপ্তানিতে ০.২৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি তিন হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘টুগেদার ফর বেটার টুমরো’।

সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘ব্যবসায় নীতি ও পরিবেশ: উন্নত বাংলাদেশের পথে’, ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য যৌথ ও দায়িত্বশীল উৎস’ এবং বাংলাদেশ পোশাকশিল্প: রূপান্তর ও অগ্রযাত্রা’-এই তিন বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

সেশনগুলোতে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে তা হলো-শিল্পমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য কনডাকটিভ বিজনেস, পরিবেশ ও নীতি, তৈরি পোশাকের সাপ্লাই চেইন টেকসই করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত উদ্যোগ ও টেকসই অর্থনীতির গুরুত্ব কতখানি, শিল্পের আধুনিকরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়।

সম্মেলনে উদ্যোক্তা, শ্রমিক প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক ছাড়াও পশ্চিমা বিশ্বের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মাদ নাসির।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :