গুলশানে ‘সীমান্ত হত্যা’ নিয়ে সেমিনার পণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:০৫ | প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫৬

পুলিশি বাধায় সীমান্ত হত্যা নিয়ে সেমিনার করতে পারেনি জনগণতান্ত্রিক আন্দোলন নামের একটি সংগঠন।

শনিবার সকালে গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে সেমিনারটি হওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের অভিযোগ, গুলশান কূটনৈতিক এলাকা হওয়ায় বিনা অনুমতিতে এখানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে পুলিশ তাদের জানিয়েছে। তাই সেমিনার হয়নি।

অন্যদিকে পুলিশ বলছে, বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠান আয়োজন করায় হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের নিষেধ করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, ‘সীমান্ত হত্যা. রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিতে আয়োজক ও অতিথিদের অনেকে সকালেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে গুলশান থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হয়ে আয়োজকদের বলেন, ‘অনুষ্ঠান বন্ধ করুন, এখানে অনুষ্ঠান করা যাবে না।’

কারণ জানতে চাইলে আয়োজকদের ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা কূটনৈতিক এলাকা। থানার অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান করা যাবে না।’

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘পুলিশ নিষেধ করার পর আমরা চলে এসেছি। হয়তো শিগগিরই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করছিলেন কলামিস্ট ফরহাদ মজহার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের কথা ছিল দৈনিক আমার দেশের (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের।

অনুষ্ঠান করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘আজকের এই পরিস্থিতিই রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা বলে দিচ্ছে। আমরা ঘরোয়া পরিবেশে রাষ্ট্রের স্বার্থ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানও করতে পারলাম না।’ সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যেই অনুষ্ঠানটি অন্যত্র করতে পারব।’

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আজকের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কারণ কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় তা আগে কখনো শুনিনি। আমাদের সীমান্তে দেশের নাগরিকদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্র ও নাগরিকদের নিরাপত্তা কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয় নিয়ে আজকের সেমিনারে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সুযোগটি পাওয়া গেল না।’

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা জেড এন তাহমিদা বেগম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (এফইউজ) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক মামুন, অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

আয়োজকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পুলিশ নয়, হোটেল কর্তৃপক্ষ আয়োজকদের অনুষ্ঠান করতে বারণ করেছে। তারা আমাদের জানিয়েছেন যে আয়োজকরা ভুল বুঝিয়ে অনুষ্ঠান করেছিল।’

এদিকে পুলিশের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারের কর্মকর্তা আরিফ শিকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কূটনৈতিক এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। পুলিশ সে কথা বলে তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করেছে। আমরা শুধু ভেন্যু ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিয়েছিলাম।’

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/বিইউ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :