বগুড়ায় হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে পেটানোর তদন্ত শুরু

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:৪৩ | প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:০০

বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর স্বজনকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পেটানোর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হাসপাতালে গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।

শনিবার দুপুরে তদন্ত কমিটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। এর আগে তারা সড়ক পথে বগুড়ায় আসার পথে সিরাজগঞ্জে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে তাদের বক্তব্য শোনেন। তদন্ত কমিটির কাছে সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন লাঞ্ছিত আব্দুর রউফ ও তার দুই বোন। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই জনের স্বাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিটি।

এরপর তদন্ত কমিটির সদস্যরা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে প্রথমে সেদিন উপস্থিতি সাংবাদিকদেও কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। পরে হাসপাতালে পরিচালক এ কে এম মাসুদ আহসান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আহসান হাবিব, উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম জুয়েল, চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ নেতা, পুলিশ কর্মকর্তা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আলাদাভাবে বক্তব্য নেন। যে স্থানে ঘটনা ঘটেছিল সেখানের এবং আশপাশের রোগীদের নিকট থেকেও বিস্তারিত শোনেন তারা।

তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমরা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শুনেছি, স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেছি এমনকি সাংবাদিকদের নিকট থেকেও বিস্তারিত জেনেছি। আমরা তদন্ত শেষ করে দ্রুত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেবো। প্রতিবেদন পেয়ে পর্যালোচনা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (প্রশাসন) শারফুদ্দিন আহমেদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড এইচএমপিচির পরিচালক এম এ রাশেদ।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে আপা বলে ফ্যানের সুইচ কোথায় তা জানতে চান গুরুতর অসুস্থ আলাউদ্দিনের ছেলে আবদুর রউফ। পরে এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা দল বেঁধে রউফের ওপর হামলা করে। তাকে হাসপাতাল পরিচালকের পক্ষে ধরে নিয়ে পিটুনির পাশাপাশি কান ধরে ওঠবস করানো হয়, পায়ে ধরে মাফ চাইতেও বাধ্য করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় সারা দেশে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এরই মধ্যে বলেছেন, রোগীর স্বজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারীদের ইন্টার্নশিপ বাতিল হবে। সেই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন তারা।

১৯ ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে ধর্মঘট করে। এর মধ্যেই মারা যান আলোচিত সেই রোগী আলাউদ্দিন। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।

ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :