মানিকগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত, আটক ১২
মানিকগঞ্জ জেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদক বিক্রির অভিযোগে ১২ জনকে আটক করা হয়।
শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান।
আটকরা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার দুর্গাপাড়া গ্রামের মাজহারুল ইসলাম ওরফে বিকাশ দাদা (৩৯), মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আকতার হোসেন (২২), জুয়েল রানা (১৮), দৌলতপুর উপজেলার বাবুল হোসেন (২৪), হরিরামপুর উপজেলার বাহার আলী ভূঁইয়া (৩৫), সাটুরিয়া উপজেলার বিপ্লব চন্দ্র হালদার (৩২), ঘিওর উপজেলার রাজ্জাক হোসেন (৫৫), সিঙ্গাইর উপজেলার কবির হোসেন (৩৬), শওকত হোসেন (৩৫), হৃদয় হোসেন (২০), মানিক মিয়া (২২) এবং সদর উপজেলার উৎপল কুমার শীল (২১)।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ প্রধান মাহফুজুর রহমান জানান, জেলার অনেক স্থানে মাদকের ছড়াছড়ি।
এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে এক ফেব্রুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।
এর অংশ হিসেবে গত দুই দিনে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ ১২জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২২ পিস ইয়াবা, ৪০০ গ্রাম গাঁজা, ১৩ পুড়িয়া হেরোইন ও পাঁচ বোতেল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিংগাইর উপজেলায় প্রয়াত এক বাউল শিল্পীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়।
মাহফুজুর রহমান বলেন, মাদকসহ আটকের পর কখনো কেউ কেউ তদবির করেন।
আটক হওয়াদের মাঝেমধ্যে ছেড়ে দেওয়ারও চাপ দিতে থাকেন।
তিনি বলেন যতই চাপ আসুক মাদক আর জঙ্গিবাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়।
তিনি মাদক নির্মূলে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও সাংবাদিকসহ সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।
জেলাকে মাদক মুক্ত রাখতে হলে আদালতের আইনজীবীদের সতর্ক হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় আমরা মাদকসহ আটক করার পর সিনিয়র আইনজীবী ধরে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার মাদক ব্যবসায় জরিয়ে পড়ে। আইনজীবীরা এ ব্যপারে সতর্ক হলে এমনটা আর ঘটবে না।
তার মতে জেলার সকল যুব সমাজের কথা চিন্তা করে আইনজীবীদের মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের ব্যপারে ভাবতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, অনেক সময় জানা যায় পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য মাদক কারবারে জরিত।
তিনি তাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, মাদক বিক্রেতা অথবা মাদকসেবীর সঙ্গে পুলিশের কোনো সদস্য সহযোগিতার প্রমাণ পেলে রেহাই দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জের যুব সমাজকে বাঁচাতে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের এই বিশেষ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুশিল সমাজসহ সকল শ্রেণিপ্রেশার মানুষ। তারা পুলিশের এই মহতী কাজে মাহফুজুর রহমানকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন