যুব ও শ্রমিক লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিলো ডিসিসি
রাজধানীর মহাখালী রেলগেইট এলাকায় সরকারি জমিতে গড়ে তোলা যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের অবৈধ কার্যালয় গুড়িয়ে দিলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। করপোরেশন জানিয়েছে, সরকারি জমিতে ক্ষমতাসীন দল বা অন্য কোনো নামে কোনো অবৈধ স্থাপনাই থাকতে দেয়া হবে না।
সোমবার বিকালে মহাখালী রেলগেইট থেকে বনানীর দিকে রেল লাইনের পাশে এই কার্যালয় দুটি গড়ে তোলা হয়েছিল। এর একটি ছিল ঢাকা মহানগরের ২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়। অন্যটি ছিল ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিক লীগের। টিনের চালা দিয়ে ইটের তৈরি কক্ষ তৈরি করে সেখানে আড্ডা দিতো যুব ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা।
নানা সময় সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ কার্যালয় অক্ষত থেকে গেছে। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তবে রবিবারের উচ্ছেদ অভিযানে প্রথমেই ভাঙা হয় এই কার্যালয় দুটি। এ সময় সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। তাদেরকে মোবাইল ফোনে এই ঘটনার দৃশ্য ধারণ করতেও দেখা যায়। কেউ কেউ তুলছিলেন সেলফিও।
বেলা দুইটার দিকে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদকারী দল সেখানে ছোট আকারের একটি পে লোডার নিয়ে যায়। যুব ও শ্রমিক লীগের কর্মীরা তখন সেখানে বসে ছিলেন। কার্যালয় দুটি ভেঙে দেয়া হবে জানিয়ে তাদেরকে ভেতরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়। বেলা তিনটার দিকে সব জিনিসপত্র সরিয়ে নেন তারা।
অভিযান শুরুর আগে আগে দেখা যায় কার্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ একটি ডিজিটাল ব্যানার দেয়ালে ঝুলানো রয়েছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নজরে আসলে সেটি খুলে নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এরপর শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।
প্রথমে ছোট পেলোডার দিয়ে কক্ষ দুটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এরপর আনা হয় বড় পে লোডার আর এর এক ধাক্কায় গুড়িয়ে দেয়া হয় কক্ষ দুটি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার সাংবাকিদের বলেন, 'সিটি করপোরেশন ও রেলওয়ে যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেছে। এখানে ডিএনসিসির প্রায় আড়াই হাজার স্কয়ার ফুট ও রেলওয়ের কিছু অংশ রয়েছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, 'এই জমি যেন আবার দখল না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন। কিছুদিনের মধ্যেই প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে এখানে বিউটিফিকেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।'
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য মেয়রের আদেশে ভবিষ্যতেও এ ধরণের উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে বলে।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো নাসির।
যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের অবৈধ কার্যালয় গুড়িয়ে দেয়ার পর সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদকারী দল বনানীর দিকে যায়। সেখানে তারা ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এএকে/ডব্লিউবি )