‘বিশ্বে রোগের মতো ছড়াচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:১৮

‘মানবাধিকারকে অসম্মান করা, অগ্রাহ্য করাটা বিশ্বজুড়ে রোগের মত ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে রাজনীতিকদের সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা এবং কট্টরপন্থী অসহিষ্ণুতা।’-এই হুঁশিয়ারি এবং উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে জাতিসংঘের মহসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কন্ঠ থেকে। খবর বিবিসির।

তবে যে প্রতিষ্ঠানের সভায় গুতেরেস ভাষণ দিচ্ছিলেন সেই জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ভূমিকাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সমালোচনা বাড়ছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এবং অকার্যকার।

বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে সেদিকেই তাকানোর কথা জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের।কিন্তু এই পরিষদে ভোটাধিকার আছে এমন অনেক সদস্য দেশ, যেমন সৌদি আরব, চীন এবং ভেনেজুয়েলার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন রয়েছে।

সিরিয়ার যুদ্ধ নিয়ে এই পরিষদ বড় ধরনের তদন্ত করলেও, ইয়েমেনের যুদ্ধ নিয়ে এক রকম নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ইয়েমেন সরকারকে সহযোগিতা করতে গিয়ে সৌদি আরব যেভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে অনেক ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

এমন সমালোচনার মধ্যেই জেনেভায় শুরু হয়েছে এই সংস্থাটির বসন্তকালীন অধিবেশন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেছেন, সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার রাজনীতি মানবাধিকারের জন্যে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, সস্তা জনপ্রিয়তা এবং চরমপন্থার রাজনীতির প্রবনতা ক্রমশই বাড়ছে। এর ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে জাতিবিদ্বেষ, বিদেশিদের প্রতি ভয়, ইহুদি বিদ্বেষ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাসহ নানা ধরনের অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী সম্প্রদায় নির্যাতন ও নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’

‘একই ধরনের ঘটনা ঘটছে সমকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজড়াদের ক্ষেত্রেও। শরণার্থী ও অভিবাসীদের অধিকারও পড়েছে হামলার মুখে। বাড়ছে মানব পাচারের ঘটনা কারণ যুদ্ধ থেকে পালাচ্ছে বহু মানুষ। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজ তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

গুতেরেস বলেন, এমন এক সময়ে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সারা বিশ্বেই একটি রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে এখন এই চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে।’

বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এমন গুজবও আছে যে ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র এই পরিষদ থেকে বেরিয়েও যেতে পারে।

ইসরায়েলের দাবি, এই পরিষদ থেকে তাদেরকে অহেতুক সমালোচনা করা হয়।

তবে মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলছে, এই পরিষদের পক্ষ থেকে দাসত্ব এবং নির্যাতনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কাজ হয়েছে। আর এই কারণে সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সমর্থনেরও প্রয়োজন রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :