শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা জানতে চায় হাইকোর্ট
রাজশাহীর পটিয়া উপজেলার বারোইপাড়া গ্রামের ১২ বছরের শিশু নাজমুল হককে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) ও পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাত দিনের মধ্যে এবিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রুলও জারি করেছেন আদালত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালত আগামী ৭ মার্চ এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান ও ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান রিট আবেদনটি করেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মীর হেলালউদ্দিন ও ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হক বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করতো। গাড়ির অনবোর্ড সিডির তার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে। এরপর তার মাথার চুল কামিয়ে, মুখে পোড়া মবিল মাখিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এনিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এমএবি/জেবি)