রাজীব হত্যার ফাঁসির আসামি রানা আবার রিমান্ডে
ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানার পুনরায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি আশরাফুল ইসলামের পুনরায় রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন একই আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এই রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য। আসামিদের মধ্যে রানা ব্লগার রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। ওই মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় তার মুত্যুদণ্ড হয়েছে। রাজীবকে হত্যার পর তিনি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে গিয়ে তার সংগঠনের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে বাংলাদেশে এসে পুনরায় স্থানীয় সহযোগী জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে য়ড়যন্ত্রমূলক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপসহ টার্গেট কিলিং বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনায় একত্রিত হন।
এরও আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে দুপুরে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট আসামিদের আটক করে বলে পুলিশের দাবি।
ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর রেদেয়ানুল রানাসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন এবং অপর পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বীপ। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মাকসুদুল হাসান অনিক। এছাড়া আসামি মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ, এহসানুর রেজা রুম্মান ও নাফিজ ইমতিয়াজের ১০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে জঙ্গিদের হতে নিহত হন শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্ত প্রকৌশলী রাজীব হায়দার শোভন।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/আরজেড/জেবি)