সিআইপি কার্ড পেলেন ১৬৪ ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৫১

রপ্তানি খাতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন ১৬৪ জন। রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালের জন্য ১৪টি পণ্য খাতে ১২৫ রপ্তানিকারক এবং পদাধিকার বলে ৩৯ ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি নির্বাচন করা হয়।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি থেকে তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরূহা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড) পরিচয়পত্রধারীদের অনুকূলে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আজ থেকে আগামী এক বছরের জন্য বহাল থাকবে। এটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। কার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তাঁদের ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। ব্যবসার কাজে বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য তাঁদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ‘লেটার অব ইনট্রুডাকশন’ দেয়া হবে। তাঁদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকবে। কার্ডধারীরা বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের পর দেশে গ্যাসের কোনো সংকট থাকবে না। তখন ব্যবসায়ীরা চাহিদামাফিক গ্যাস পাবেন। তিনি বলেন,কয়েকটি বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আশা করছি ২০১৮ সালের মধ্যে গ্যাসের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ভোলায় কয়েকটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের অনুসন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের এসব গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানান ব্যবসায়ীদের প্রতি। তিনি বলেন, প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি সরকার অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্লাস্টিক, আইটি ও ওষুধ রপ্তানির ওপর নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ এই তিনটি পণ্যের প্রত্যেকটি থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তোফায়েল আহমেদ পোশাক আমদানিকারক কয়েকটি দেশের সমালোচনা করে বলেন, যেসব দেশ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে কি-না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন-সেসব দেশে শতভাগ ট্রেড ইউনিয়ন নেই। বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন ও ভিয়েতনামে ট্রেড ইউনিয়ন নেই, অথচ সেখানে তারা কোন প্রশ্ন করছেন না। কারোর কোন চাপে বাংলাদেশ মাথা নোয়াবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ রপ্তানিকারকদের জন্য দেশে শিল্প ও বিনিয়োগ সহায়ক অবকাঠামো নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা: ক্যাব চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক এশিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর

নিজ নেতৃত্বগুণে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববরেণ্য নেতা: ড. মশিউর রহমান

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩২তম মিলিয়নিয়ার হলেন কুমিল্লার ভ্যানচালক হুমায়ুন 

এবার মিরপুরে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস

আয়ারল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে ক্রেডিট গ্যারান্টি বিষয়ে চুক্তি

এনসিসি ব্যাংক পিএলসি. এবং একপে এর মধ্যে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক চুক্তি 

নগদ লেনদেনে এবার জমি জেতার সুযোগ

মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :